গত বছর নেপালে ভয়াবহ ভুমিকম্পের পর এভারেস্ট শৃঙ্গের বেশকিছু স্থানে ফাটল এবং গর্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণের পথ-নির্দেশক সংস্থা নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসিয়েশনের একটি বিশেষ দল এই দাবি করেছে।
নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসিয়েশনের চেয়ারম্যান অং শেরিং শেরপা বলেন, “গত বছর এপ্রিলের ২৫ তারিখের শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং মে জুড়ে ‘আফটার শক’-এ হিমালয়ে বেশকিছু গর্ত তৈরি হয়েছে। ‘তুষারধস ডাক্তার’রা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রশি এবং সিঁড়িগুলো ঠিক করছেন। যেসব জায়গায় ফাটল এবং গর্ত দেখা দিয়েছে, সেসব জায়গায় এখন আরও কিছু বাড়তি সিঁড়ি ব্যবহার করতে হবে।” উল্লেখ্য, শেরপাদেরই ‘তুষারধস ডাক্তার’ বলা হয়।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে অং শেরিং আরও বলেন, ‘এখন আমাদের ১০ জন ডাক্তারের (শেরপা) দরকার। তবে সাধারণত রশি মেরামত এবং অ্যালুমিনিয়ামের সিঁড়ি স্থাপন করতে আমাদের ৬ জনের দরকার পড়ে।’ তিনি আরও জানান, ওই অতিরিক্ত শেরপাদেরও অতিরিক্ত সময় লাগবে এই কাজ সম্পন্ন করতে। সাগরমাথা পলিউশন কন্ট্রোল কমিটি (এসপিসিসি) সিঁড়ি ও রশি মেরামতের অনুমোদিত সংস্থা।
সাধারণত শেরপারা বেইজ ক্যাম্প থেকে ক্যাম্প-১ পর্যন্ত আরোহণের পথটি পরীক্ষা করে দেখেন, তা আরোহীদের জন্য উপযুক্ত রয়েছে কিনা। তবে এবার ক্যাম্প-১-এর উপরের দিকের কিছু স্থানের রশিও মেরামত করতে হবে বলে জানা গেছে। মেরামতের কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে বলে যে পর্বতারোহীরা ইতিমধ্যে বেইজ ক্যাম্পে পৌঁছে গেছেন, তাদেরও সর্বোচ্চ শৃঙ্গের দিকে এগিয়ে যেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
গত বছর পরপর দুটি ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪ বা ততোধিক মাত্রার অন্তত ৪৪০টি আফটার শক রেকর্ড করা হয়েছে। সূত্র:পিটিআই।
/এসএ/এফইউ/