X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পরও বক্তৃতা দিয়েছিলেন নেতাজী!

বিদেশ ডেস্ক
০২ এপ্রিল ২০১৬, ১৭:৩৯আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০১৬, ১৭:৩৯
image

মৃত্যুর খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে ভারতের স্বাধীনতা পর্যন্ত তিনবার নেতাজির বক্তৃতা সম্প্রচারিত হয়েছে রেডিওতে। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রিয় সরকারের তরফে প্রকাশ করা নেতাজি সম্পর্কিত আরও ৫০টি ফাইল থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ১৯৪৫ সালের ১৮ই অগাস্ট তাইওয়ানে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও নেতাজির বক্তৃতা সম্প্রচার হলো কী করে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন রহস্য।

নেতাজী-১

শেষ ৫০টি প্রকাশিত ফাইলগুলির মধ্যে ৮৭০/১১/পি/১৬/৯২ নং ফাইলের ১১ পাতায় বলা হয়েছে, ১৯৪৫ সালের ২৬ডিসেম্বর, ১৯৪৬ সালের ১জানুয়ারি এবং ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজির ভাষণ সম্প্রচারিত হয়েছিল। ফাইলের তথ্য অনুযায়ী বাংলার গভর্নরের হাউজ থেকে একটি মনিটরিং সার্ভিস ৩১মিটার ব্যান্ডে তিনবার সুভাষ বোসের বক্তৃতা সম্প্রচার করা হয়েছিল। এক সরকারি কর্মী পি সি কর ওই সম্প্রচার গুলি করেছিলেন। বিষয়টি তিনি তদানীন্তন গভর্নর আর জি ক্যাসেকেও জানিয়েছিলেন।

সম্প্রচারিত ওই তিন বার্তার প্রথমটিতে নেতাজি বলেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি বিশ্বের শক্তিশালী ক্ষমতার আশ্রয়ে আছি। কিন্তু ভারতের জন্য আমার মন বড়ই উতলা হয়ে রয়েছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতেই আমি দেশে ফিরব। আগামী ১০ বছর বা তারও আগে সেই দিন আসতে পারে। তখন আমি সেই সব মানুষের বিচার করব যারা লাল কেল্লা থেকে আমার দেশবাসীর উপর অত্যাচার চালাচ্ছে।’

নেতাজী-২

১৯৪৬ সালের শুরুর দিনে সম্প্রচারিত বেতার বার্তায় ছিল সশস্ত্র পথে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার কথা। ‘আগামী ২ বছরের মধ্যেই আমাদের স্বাধীনতা পেতে হবে। ব্রিটিশদের ক্ষমতা এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। সময় এসে গেছে এবার তারা ভারতকে স্বাধীন করে এ দেশ ছেড়ে চলে যাক। অহিংসার পথে কোনোদিন স্বাধীনতা আসবে না। তবে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি আমার সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে।’

এর পরের মাসে সম্প্রচারিত বার্তায় নেতাজি স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, ‘আমি সুভাষ চন্দ্র বোস বলছি। জয় হিন্দ। জাপানের আত্মসমর্পণের পর এই নিয়ে তৃতীয় বার আমি আমাদের দেশের ভাই বোনদের উদ্দেশে কথা বলছি… ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিস্টার পেথিক লরেন্স এবং আরও দু’জন সদস্যকে দেশে পাঠাচ্ছেন। তবে তাদের কোনো মহৎ উদ্দেশ্য নেই। তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য কীভাবে আজীবন ভারতকে শোষণ করা যায়।’

নেতাজী-৩

উল্লেখ্য, সরকারের কাছে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত গোপন নথিপত্র প্রকাশ্যে আনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল রাজনৈতিক উত্তেজনা। গত বছর সেপ্টেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে থাকা ৬৪টি গোপন ফাইল প্রকাশ করে দেন। তখনই নেতাজিকে নিয়ে কেন্দ্রের কাছে থাকা অন্য গোপন ফাইলগুলি প্রকাশ্যে আনতে মোদি সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেন মমতা। রাজ্যের নথিগুলিতে সুভাষ চন্দ্রের অন্তর্ধান সংক্রান্ত কোনও তথ্য না থাকলেও মমতার পদক্ষেপে নড়েচড়ে বসেন মোদি। তারপর নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্য ও গবেষকদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দেন, তার জন্মদিনেই তাকে নিয়ে  গোপন নথিগুলো প্রকাশ করতে শুরু করবে সরকার। কথা মতো, এ বছর ২৩ জানুয়ারি শনিবার থেকে নেতাজির ১১৯তম জন্মদিনে  গোটা দেশের রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার মধ্যেই শনিবার সেই নথি প্রকাশ পেতে শুরু করে। সূত্র: আইবিএন, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু

/বিএ/ 

সম্পর্কিত
জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর
ইডি হেফাজতে আরও ৪ দিন কেজরিওয়াল
সরকার ক্ষমতায় থাকতে ভোটের ওপর নির্ভর করে না: সাকি
সর্বশেষ খবর
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!