সম্প্রতি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে পণ্য আমদানির জন্য উপকূলবর্তী পথ ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। প্রভাবশালী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বলছে, এতে অর্থ এবং সময় দুটোই বাঁচছে। তারা জানিয়েছে, আমদানি করা ওইসব পণ্য বীমার আওতাধীন থাকে এবং তাতে ওই পণ্য ছিঁচকে চুরি, ছিনতাই বা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
বর্তমানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ক্রেতা তালিকায় রয়েছে চেন্নাইয়ের টায়ার সহ গুনটুরের তুলা, মরিচ, তামাক এবং কোয়েম্বাটোর থেকে টেক্সটাইল যন্ত্রাংশ। এছাড়াও বাংলাদেশ ভারত থেকে লোহা, স্টিল, চিনি, শস্য, গ্লাস, যানবাহন, বিভিন্ন সরঞ্জাম, অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিক, কপার এবং ধাতু নির্মিত পাত্র আমদানি করে থাকে।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ভারত টায়ার এবং টেক্সটাইল যন্ত্রাংশ কলম্বো বা সিঙ্গাপুরে পাঠায় এবং সেখান থেকে তা চট্টগ্রামে পৌঁছায়। অন্যান্য পণ্য রেল এবং সড়কপথে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসে। পণ্য আমদানি বেড়ে যাওয়ায় রেল এবং সড়কপথে পণ্য পরিবহন সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। সেই সাথে শুল্ক প্রদানে খরচও হয় বেশি। বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের ব্যবসায়ীরাই এজন্য একটি বিকল্প পথে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন, যেখানে তাদের সময় এবং অর্থ দুটোই বাঁচবে। উপকূলীয় পথকে বেছে নেওয়ার কারণ এটাই।
এক ভারতীয় রফতানিকারক বলেন যে, পণ্যসামগ্রী কৃষ্ণাপাটনাম থেকে চট্টগ্রামে অথবা পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালে পাঠালে ২৫-৩০ দিনের জায়গায় মাত্র ৭ দিন লাগে। এতে প্রতি কনটেইনারে প্রায় ৩০০ ডলারের মতো বাঁচে।
প্রায় চার যুগ পর ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে পণ্যবাহী জাহাজের মাধ্যমে সরাসরি কন্টেইনার আদান-প্রদান শুরু হয়েছে। সম্প্রতি গুনটুর থেকে ৪০ কনটেইনার তুলা নিয়ে এমভি হার্বার-১ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। পাশাপাশি, কার্গো পরিবহন কোম্পানি নিপা পরিবহন ঘোষণা দিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এমভি শামায়েল সাপ্তাহিক পণ্য পরিবহন সেবা প্রদান করবে।
দ্য হিন্দুর সঙ্গে কৃষ্ণাপাটনাম বন্দরের পরিচালক ভিনিতা ভেঙ্কটেশ বলেন, ‘চল্লিশ ফুটের ২০ হাজার কনটেইনার মুন্দ্রা বন্দর, গুনটুর, নাগপুর, হায়দ্রাবাদ, গুজরাট এবং অন্ধ্র প্রদেশের পথ ধরে এগোবে।’ সূত্র: দ্য হিন্দু।
/এসএ/বিএ/