বিখ্যাত মেরিন বায়োলজিস্ট একটি বোতলে বার্তা লিখে তা সাগরে ছোড়ে মারেন। বোতল বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, যিনি এটা পাবেন তিনি যেনও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হয়ত তিনি আশা করেননি খুব দ্রুতই বোতল বার্তা পেয়ে কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। বাস্তবে ঘটলোও তাই। বোতলবার্তাটি পেতে সময় লেগেছে ১০৮ বছর। আর গিনেস বিশ্ব রেকর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, এটাই সবচেয়ে পুরনো বোতলবার্তা পাওয়ার ঘটনা।
১০৮ বছর বোতলবার্তাটি পাওয়া জার্মান নারীকে প্রতিশ্রুত অনুসারে পুরস্কার দিয়েছে। পুরস্কার হিসেবে বিজ্ঞান ইন্সটিটিউশন তাকে এক শিলিং দিয়েছে। ১৯০৬ সালে এক শিলিং অনেক সম্মানজনক পুরস্কার ছিল।
আরও খবর: সন্তানের জন্ম দিলেন লাইফ সাপোর্টে থাকা পোলিশ নারী
জর্জ পার্কার বিডার নামক ওই বিজ্ঞানি ১ হাজার বোতলবার্তা সাগরে ভাসিয়েছিলেন। সাগরের স্রোতের গতিবিধি গবেষণার অংশ হিসেবে তিনি এ কাজ করেন। বেশিরভাগ বোতলবার্তাই স্থানীয় জেলেরা পেয়ে তা ফেরত দিয়ে পুরস্কার নিয়েছিলেন।
জার্মান নারী যে বোতলবার্তা পেয়েছেন তা পার্কার সাগরে ভাসিয়েছিলেন ১৯০৬ সালের ৩০ নভেম্বর। আর ২০১৫ সালে ১০৮ বছর ৪ মাস ও ১৮ দিন পর তা কুড়িয়ে পান এক জার্মান নারী। মেরিয়েন উইঙ্কলার নামক ওই নারী জার্মানির উত্তরে ফ্রিসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের একটি আমরুন দ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতের চণ্ডিগড়ে ডিসকোকে দেশবিরোধী আখ্যা, নিষিদ্ধ শর্ট স্কার্টস
বোতলটি লেখা ছিল বোতলটি ভেঙে ফেলুন। কিন্তু মেরিয়েন ও তার স্বামী অনেক চেষ্টা করেছিলেন বোতলটি না ভেঙে বার্তাটি বের করার। কিন্তু তা পারেননি। শেষ পর্যন্ত তারা বোতল ভেঙে বার্তাটি বের করেন। বার্তায় একটি পোস্ট কার্ড ছিল। এতে লেখা ছিল তা ডেভনের প্লাইমাউথে অবস্থিত মেরিন বায়োলজিক্যাল অ্যাসেসিয়েশনে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
এই অ্যাসোসিয়েশনটি ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সাগর নিয়ে গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বেশ খ্যাতি অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। পার্কারের নাম প্লাইমাউথ এলাকায় বেশ পরিচিত ছিল। ১৯৩৯-৪৫ সাল পর্যন্ত তিনি এ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৪ সালে ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড মেরিয়েনকে সবচেয়ে পুরনো বোতলবার্তা পাওয়া ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে সবচেয়ে পুরনো বোতলবার্তা ছিল ৯৯ বছর ৪৩ দিন পুরনো। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
/এএ/