X
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
২৬ বৈশাখ ১৪৩১
ট্রাভেলগ

বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম ও অগ্নিকুণ্ডে একদিন

মোহাম্মদ আলী
১২ আগস্ট ২০২০, ০০:০২আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:৩৯

বাড়বকুণ্ড অগ্নিকুণ্ড চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশের পর্যটনের অনেক কিছু ছড়িয়ে আছে। ছোটবড় বেশকিছু ঝরনা, পাহাড়, সবুজ বৃক্ষমালার অনন্য সম্মিলন এখানে। সীতাকুণ্ডের কাছে বাড়বকুণ্ড ঝরনায় যাবো বলে একদিন ঠিক করলাম। এটি কিছুটা অপরিচিত। ভ্রমণসঙ্গী একজন। সে জানালো, বাড়বকুণ্ড ঝরনায় যাওয়ার পথে একটা প্রাচীন মন্দির পড়বে। খবরটা জেনে অন্যরকম একটা উত্তেজনা হচ্ছিল মনে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম থেকে পেছনে ফিরে এলাম সীতাকুণ্ডের দিকে। বাস থেকে কুমিরায় নামলে ঠিক রাস্তার বিপরীতে বাড়বকুণ্ড বাজার। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম ঝরনার পথে। ইট বিছানো রাস্তা। আশেপাশে সবুজের সমারোহ।

বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম মিনিট দশেক পর রিকশা থেকে নেমে শুরু হলো হাঁটা পর্ব। গন্তব্য প্রথমে সেই প্রাচীন মন্দির, এরপর ঝরনা। পাহাড়ি রাস্তা, ঝিরিপথ ও কাঁদা পেরিয়ে হাঁটছি। দু’পাশে সবুজময় অরণ্যে পাখির কিচিরমিচির মন জুড়িয়ে দিলো। সবুজের ফাঁক গলে ছোট আকারের টিলা ও পাহাড়ি ঝিরিপথ চোখে পড়লো। সোজা রাস্তা, সুতরাং পথ হারানোর কিছু নেই। তারপরও যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে পথ দেখিয়ে দেবে।

বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম প্রায় ৩০ মিনিট হেঁটে একটু দূর থেকেই দৃষ্টিগোচর হলো প্রাচীন স্থাপত্য বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম। সবুজ গাছগাছালি বুকে মহাকালের সাক্ষ্মী হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে। লম্বা সিঁড়ি বেয়ে মন্দিরে উঠতে হয়। দেখেই বোঝা গেলো, সিঁড়িটি নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। সিঁড়ি ধরে ওপরে উঠতেই দেখলাম বহু বছরের ইতিহাস বয়ে বেড়ানো শীর্ণজীর্ণ মন্দির। দেয়াল, ইট-সুড়কি দেখে ধারণা করা যায় মোটামুটি ৩০০-৪০০ বছর আগের স্থাপনা এটি। এর নির্মাণশৈলী কিছুটা মোগলদের মতো।

বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম মন্দিরের নিচের অংশে জলের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে আগুন জ্বলে! হয়তো কোনও মিথেন বা অন্য কোনও প্রাকৃতিক গ্যাস এখানে উদ্গীরণ হয়। এটাকে বলা হয় অগ্নিকুণ্ড। এখানে পূজা-অর্চনা চলে। মাসে একবার পুন্যার্থীরা আসেন। তখন মন্দিরে কিছুটা লোকসমাগম হয়। এছাড়া বাকি সময় কোলাহল মুক্তই থাকে।

বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম প্রাচীনকালের স্থাপত্য দেখলে অনুসন্ধিৎসু হয়ে যায় মন। এগুলো মন্ত্রমুগ্ধ করে অনায়াসে। কোনও প্রাচীন স্থাপত্য সামনে পেলে ইতিহাস খুঁজতে চেষ্টা করি। তখনকার সময় কেমন ছিল, তখন কী হতো; এসব চোখ বুঁজে কল্পনা করতে থাকি।

বাড়বকুণ্ড তীর্থধাম প্রায় ধ্বংস হতে যাওয়া মন্দিরের ইতিহাস জানার জন্য বিভিন্ন দেয়ালে নামফলক খোঁজার চেষ্টা করলাম। তবে কোথাও এমন কিছু বা লিখিত ইতিহাস খুঁজে পেলাম না। সরকারিভাবে এই তীর্থধাম ও অগ্নিকুণ্ডকে সংরক্ষণ করা উচিত।

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শুল্ক জটিলতায় আটকে আছে ২০ অ্যাম্বুলেন্স, আমদানিকারকদের ক্ষোভ
শুল্ক জটিলতায় আটকে আছে ২০ অ্যাম্বুলেন্স, আমদানিকারকদের ক্ষোভ
সাগরপথে ইউরোপে যাওয়ার তালিকায় ফের শীর্ষে বাংলাদেশ
সাগরপথে ইউরোপে যাওয়ার তালিকায় ফের শীর্ষে বাংলাদেশ
প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিলেন বাইডেন
প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিলেন বাইডেন
অবন্তিকার আত্মহত্যা: জবি সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্ত
অবন্তিকার আত্মহত্যা: জবি সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্ত
সর্বাধিক পঠিত
এবার কি ফুটপাত দখলমুক্ত হবে?
এবার কি ফুটপাত দখলমুক্ত হবে?
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার
ইউক্রেনে পাঠালে ফরাসি সেনাদের নিশানা করার হুমকি রাশিয়ার