সমুদ্রসৈকতে গেলেই মন ভালো হয়ে যায় সবার! তাই ভ্রমণকারীদের সাগরপাড় সব সময় কাছে টানে। নীল জলরাশি আর সাদা কিংবা সোনালি বালুময় সৈকতেই সাধারণত বেড়াতে যান পর্যটকরা। তবে অতুলনীয় ও কিছুটা অদ্ভুত সমুদ্রতটও আছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য তিন পর্বে আমরা জানাচ্ছি বিশ্বের অন্যরকম সৌন্দর্যমণ্ডিত ১৫টি সমুদ্র সৈকতের গল্প। ‘বেড়ানোর জন্য অন্যরকম সৈকত’ শিরোনামে প্রথম কিস্তির পর আজ থাকছে দ্বিতীয় পর্ব।
আগ্নেয়গিরির আভা!
আয়ারল্যান্ডের এই অন্যরকম সমুদ্রসৈকতের ভিত্তি বহু বছরের পুরনো জমে থাকা আগ্নেয়গিরির লাভা। নাম ‘জায়ান্টস কজওয়ে বিচ’। বহু বছর বললেও অনেক কম বলা হয়। এর ইতিহাস ৫ কোটি বছর আগের। এত সময় ধরে স্তরে স্তরে আগ্নেয়গিরির গলিত লাভা জমে এক ধরনের শক্ত ভূতল তৈরি হয়েছে সেখানে।
হাজার হাজার ঝিনুক
অস্ট্রেলিয়ার শার্ক বে’র পাশে আছে ‘শেল বিচ’ নামের এই সাগরপাড়। সেখানকার পানি এতই লবণাক্ত যে শামুকের মতো প্রাণীদেরও বেঁচে থাকা মুশকিল। এ কারণে সেখানে গেলে চোখে পড়বে স্তূপের মতো পড়ে থাকা শামুকের খোল। তাই বালি নয়, হাজার হাজার ঝিনুকের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এ সমুদ্রতটে। সেখানে গেলে তাই মনে পড়ে যেতে পারে ‘ওই ঝিনুক ফোঁটা সাগর বেলায় আমার ইচ্ছে করে, আমি মন ভেজাবো ঢেউয়ের মেলায়’ গানটি।
বেগুনি বালি
‘পিফিফার পার্পল স্যান্ড বিচ’ নামটাতেই কিছুটা বোঝা যাচ্ছে এর বিশেষত্ব কী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এই সাগরপাড়ের বালি অনেকটা বেগুনি রঙের। ফলে সন্ধ্যা গড়ানোর পর সেখানে তৈরি হয় ভিন্ন আবহ। চারপাশের পাহাড় ক্ষয়ের কারণে বালিতে জমতে থাকে ম্যাঙ্গানিজ গার্নেট নামক এক ধরনের উপাদান। সেজন্য সৈকতের বালি সোনালি না হয়ে ধারণ করেছে বেগুনি রং। দেখতে কিন্তু মনোরম আর শান্ত।
চুনাপাথরের গুহায় লুকানো সৈকত
পর্তুগালের আলগার্ভ উপকূলে অবস্থিত ‘বেনাজিল সি কেভ’কে বলা চলে গুহার মধ্যে লুকিয়ে থাকা সমুদ্রসৈকত। এই সাগরপাড়ে চোখে পড়বে বেশ কিছু গুহা। সেগুলোর প্রতিটিই চুনাপাথর দিয়ে গঠিত। এসব অনায়াসে এসেছে সাগরের স্রোতের তোড়ে। এভাবেই তৈরি হয়েছে এমন কিছু সমুদ্রসৈকত।
সাগরপাড়ে যেন ক্যাথেড্রাল গির্জা!
স্পেনের রিবাদেও’র সম্মোহন জাগানিয়া এই সাগরপাড়ের নাম ‘দ্য বিচ অব দ্য ক্যাথেড্রালস’। এর গুহার দেয়ালগুলো দাঁড়িয়ে আছে ক্যাথেড্রাল গির্জার দেয়ালের মতো। প্রতিটিই যেন জ্যামিতিকভাবে পরিমাপ করে বানানো! হাজার হাজার বছর ধরে সাগরের স্রোত সাজিয়ে দিয়েছে এই আকার।