পর্যটকদের অনেকের প্রত্যাশা থাকে, পরেরবার হয়তো পছন্দের শহরে বেড়ানোর সময় ভিড়ভাট্টা কম হবে। কিন্তু ভ্রমণকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) ২০১৮ সালের ট্যুরিজম হাইলাইটস রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটনের এই ক্রমবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের ঘোরাঘুরি বেড়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩২ বিলিয়নে। আগের বছরের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়া পর্যটকের সংখ্যা ৮ কোটি ৪০ লাখ। ২০০৯ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাবস্থা বিরাজের পর এটাই সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
ইউএনডব্লিউটিও জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে আগের বছরের চেয়ে পর্যটকদের বেড়ানোর হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ শতাংশ।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী— ২০১৭ সালে যেসব দেশ ভ্রমণকারীদের সিংহভাগকে আকর্ষণ করতে পেরেছে, সেগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে ফ্রান্স। সেখানে ২০১৭ সালে ৮ কোটি ৬৯ লাখ আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী গেছে। এরপরেই আছে স্পেন। দেশটিতে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা ৮ কোটি ১৮ লাখ।
জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তালিকার তিন নম্বরে আছে আমেরিকা। দেশটিতে গত বছর পর্যটক গেছে ৭ কোটি ৫৯ লাখ। তাদের কাছ থেকে মার্কিন সরকারের আয় হয়েছে ২১০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার (১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা)!
সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০ পর্যটন গন্তব্যের তালিকায় আরও রয়েছে এশিয়ার চীন (৬ কোটি ৭ লাখ পর্যটক) আর থাইল্যান্ড (৩ কোটি ৫৪ লাখ পর্যটক)। এর মধ্যে চীনের নাগরিকরা ২০১৭ সালে ঘুরে বেড়াতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন। অঙ্কটা চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো— ২৫৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার (২১ লাখ ৬২ হাজার ২৩১ কোটি টাকা)!
বেড়ানোতে খরচ করার দিক দিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনিরা গত বছর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে খরচ করেছে ১৩৫ বিলিয়ন ডলার (১১ লাখ ৩২ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা)। শীর্ষ দশে এরপরে আছে যথাক্রমে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালি।
সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০ আন্তর্জাতিক পর্যটন দেশ
১. ফ্রান্স (৮ কোটি ৬৯ লাখ)
২. স্পেন (৮ কোটি ১৮ লাখ)
৩. যুক্তরাষ্ট্র (৭ কোটি ৫৯ লাখ)
৪. চীন (৬ কোটি ৭ লাখ)
৫. ইতালি (৫ কোটি ৮৩ লাখ)
৬. মেক্সিকো (৩ কোটি ৯৩ লাখ)
৭. যুক্তরাজ্য (৩ কোটি ৭৭ লাখ)
৮. তুরস্ক (৩ কোটি ৭৬ লাখ)
৯. জার্মানি (৩ কোটি ৭৫ লাখ)
১০. থাইল্যান্ড (৩ কোটি ৫৪ লাখ)
সূত্র: সিএনএন