আমেরিকার ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একজন পাইলটকে ঘুমাতে দেখে ভড়কে গেলেন যাত্রীরা। ককপিট ফেলে প্রথম শ্রেণির আসনে কম্বল মুড়ি দিয়ে মনের সুখে ঘুমাচ্ছিলেন ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ওই বৈমানিক। নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা থেকে তাকে ডেকে তোলেন যাত্রীরাই।
জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় রাত ৭টা ৪০ মিনিটে রওনা দেয় ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টায় সেটি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। কিন্তু আকাশপথে পাইলটের ঘুমানো দেখে থমকে গিয়েছিলেন যাত্রীরা। তাদের একজন ঘুমন্ত বৈমানিকের ছবিও তুলেছেন। এতে দেখা যাচ্ছে, উড়োজাহাজের প্রথম শ্রেণির আসনে শুয়ে ঘুমাচ্ছেন পাইলট। তার ইউনিফর্ম ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে হ্যাঙ্গারে।
ওই যাত্রী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। আমেরিকান পত্রিকা ডেইলি রেকর্ডকে তিনি বলেন, ‘শত শত মানুষকে ঝুঁকির মুখে রেখে কীভাবে এমন করতে পারেন ক্যাপ্টেন! আকাশপথে পাইলটকে ককপিটে প্রয়োজন না হলেও যাত্রীদের দেখিয়ে ঘুমানো উচিত হয়নি। অনেকবার বিমানে চড়লেও এমন অভিজ্ঞতা আগে আমার হয়নি।’
তবে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স সানডে এক্সপ্রেসকে বলেছে, উড়োজাহাজে যাত্রী ও আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তাই সবার আগে। তবে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার যাত্রাপথে পাইলটের বিশ্রাম নেওয়া দরকার হয়। গ্লাসগো যাওয়ার এয়ারক্রাফটের ককপিট পরিচালনার জন্য তিনজন ক্রুও ছিলেন। তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে বৈমানিক বিশ্রামে ছিলেন।’
এভিয়েশন ওয়েবসাইট দ্য পয়েন্টস গাই জোর দিয়ে জানিয়েছে, আটলান্টিক পাড়ি দেওয়ার মতো দীর্ঘ ভ্রমণে পাইলটের বিশ্রাম নেওয়া আইনেই আছে। ফেডারেল রেগুলেশনের কোড অনুযায়ী, কোনও বিমানে যদি তিন বা তারও বেশি পাইলট থাকেন, তাহলে একেকজন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাওয়া-আসা মিলিয়ে আট ঘণ্টার বেশি ককপিটে অবস্থান করতে পারেন না।’
দ্য পয়েন্টস গাই জানায়, বড়সড় বিমানে যাত্রীদের কাছ থেকে দূরে পাইলটদের জন্য বিশ্রামের নির্দিষ্ট স্থান থাকে। কিন্তু ছোট আকারের উড়োজাহাজে তা রাখা সম্ভব হয় না। ইউনাইটেড ১৬১ ফ্লাইটটি তেমনই। তাই এর বিজনেস ক্লাসের ১৬ আসনের মধ্যে একটি বিমানের ক্রুদের জন্য বরাদ্দ থাকে।
সূত্র: সানডে এক্সপ্রেস