বিমানবন্দর সবসময় থাকে কর্মব্যস্ত। এর মধ্যে ২০১৭ সালে যেগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল, বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সেই তালিকা প্রকাশ করেছে এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল (এসিআই)। এতে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া রাজ্যে হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। গত বছর সেখানে ১০ কোটি ৪০ লাখ যাত্রী সমাগম হয়েছে। তবে আটলান্টায় গত বছর যাত্রী সংখ্যা ছিল ২০১৬ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ কম।
তালিকার দুই নম্বরে আছে চীনের বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ২০১৭ সালে সেখানে ৯ কোটি ৬০ লাখ যাত্রী সমাগম হয়েছে। ২০১৬ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
এসিআই জানিয়েছে, দ্রুততম সময়ে দেড় কোটির বেশি যাত্রী সংখ্যা পৌঁছেছে, এমন ৩০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ১৬টিই চীন ও ভারতে। এ দুটি দেশের যাত্রী সংখ্যা সারাবিশ্বের ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে ১৬ নম্বরে। এই রুটে গত বছর যাত্রী ছিল ৬ কোটি ৩৫ লাখ।
বিশ্বের বিমানবন্দরগুলোর জন্য সুখবর হলো, বিশ্বব্যাপী যাত্রী সংখ্যা ও উড়োজাহাজের চলাচল উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০১৭ সালে ৮৩০ কোটি যাত্রী আকাশপথে চলাচল করেছেন। এই সংখ্যা ২০১৬ সালের তুলনায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। পৃথিবী জুড়ে আন্তর্জাতিক যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। উড়োজাহাজের চলাচল ৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯ কোটি ৫৮ লাখ।
১৭৫টি দেশের আড়াই হাজারেরও বেশি বিমানবন্দরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তৈরি হয়েছে বার্ষিক ওয়ার্ল্ড এয়ারপোর্ট ট্রাফিক রিপোর্ট। এ তথ্য জানিয়ে এসিআই ওয়ার্ল্ডের মহাপরিচালক অ্যাঞ্জেলা জিটেন্স বলেন, ‘বৈশ্বিক যাত্রী সংখ্যা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। ফলে বিমানবন্দরগুলো অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বৈশ্বিক সংযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর
১. হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর; জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র (১০ কোটি ৪০ লাখ যাত্রী)
২. বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চীন (৯ কোটি ৬০ লাখ)
৩. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সংযুক্ত আরব আমিরাত (৮ কোটি ৮০ লাখ)
৪. টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, জাপান (৮ কোটি ৫০ লাখ)
৫. লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র (৮ কোটি ৪৬ লাখ)
৬. শিকাগো ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর; ইলিনয়েস, যুক্তরাষ্ট্র (৮ কোটি)
৭. লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দর, যুক্তরাজ্য (৭ কোটি ৮০ লাখ)
৮. হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হংকং (৭ কোটি ৩০ লাখ)
৯. সাংহাই পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চীন (৭ কোটি)
১০. অ্যারোপোর্ত ডি প্যারিস-চার্লস দো গল, ফ্রান্স (৬ কোটি ৯০ লাখ)
১১. আমস্টারডাম বিমানবন্দর স্কিফুল, নেদারল্যান্ডস (৬ কোটি ৮৫ লাখ)
১২. ডালাস-ফোর্থ ওর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র (৬ কোটি ৭০ লাখ)
১৩. গুয়াংজু বাই ইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চীন (৬ কোটি ৬০ লাখ)
১৪. ফ্রাঙ্কফুর্ট অ্যাম মেইন বিমানবন্দর, জার্মানি (৬ কোটি ৪৫ লাখ)
১৫. আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তুরস্ক (৬ কোটি ৪০ লাখ)
১৬. ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর; দিল্লি, ভারত (৬ কোটি ৩৫ লাখ)
১৭. সুকার্নো-হাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইন্দোনেশিয়া (৬ কোটি ৩০ লাখ)
১৮. সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর (৬ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার)
১৯. ইনচিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দক্ষিণ কোরিয়া (৬ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার)
২০. ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর; কলোরাডো, যুক্তরাষ্ট্র (৬ কোটি ১০ লাখ)
সূত্র: সিএনএন