বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল বলেছেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র দূরীকরণে পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই বর্তমান সরকার পর্যটন শিল্পের বিকাশের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।’ মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এনেক্স বিল্ডিং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, কক্সবাজারের টেকনাফে ‘এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। জাতীয় পর্যটন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।
এছাড়া পর্যটন শিল্পের বিকাশে নেওয়া অন্যান্য সরকারি সিদ্ধান্ত হলো— জাতীয় শিল্পনীতি-২০১০ অনুযায়ী পর্যটন শিল্পকে অগ্রাধিকারমূলক খাত হিসেবে চিহ্নিতকরণ, জাতীয় পর্যটন নীতিমালা-২০১০ প্রণয়ন, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর উন্নয়ন, পর্যটন আকর্ষণ অবকাঠামোর উন্নয়ন, রেল ও বিমান পরিবহন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, মেরিন ড্রাইভের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন।
একেএম শাহজাহান কামাল লিখিত বক্তব্য বলেন, “এবারের বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পর্যটন শিল্পের বিকাশে তথ্যপ্রযুক্তি’। এটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই প্রসঙ্গিক। প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে পর্যটকরা সহজেই গন্তব্য নির্বাচন করতে পারছেন। বিমান ও রেলের টিকিট বুকিং, হোটেল বুকিং, মিউজিয়ামের টিকিট কেনাসহ ভ্রমণ সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা পর্যটকরা এখন অতিদ্রুত ও সহজেই পাচ্ছেন। এটি সম্ভব হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সুবাদে।’
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, ‘২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে হামলার পর পর্যটন খাতে যে ধস নেমেছিল, সেখান থেকে উতরে উঠে দক্ষিণ এশিয়ায় খুব দ্রুতই আমাদের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের পর্যটন খাত। যদিও অন্যদের তুলনায় আমরা এখনও পিছিয়ে আছি।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারাবিশ্বের মতো আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে উদযাপন করা হবে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০১৮’। এ উপলক্ষে থাকছে শোভাযাত্রা, মেলা, সেমিনার, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনদিন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এগুলোর আয়োজন করেছে।