নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে গড়ে তোলা হয়েছে শিশু পার্ক। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই জায়গা।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন একটি পার্ক পেয়ে খুশি অভিভাবকরা। তারা নিয়মিত সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে আসছেন এখানে। বিউটি নামের একজন অভিভাবক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগে সন্তানকে নিয়ে নওগাঁ জেলা শহরে পার্কে বেড়াতে যেতাম। এখন বাড়ির কাছে পার্ক হওয়ায় সময় পেলেই চলে আসি।’
আরেক অভিভাবক আলতাফ হোসেনের কথায়, ‘এখানে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার জন্য যেমন ব্যবস্থা আছে, তেমনি আমাদের বসার ব্যবস্থা থাকায় সুবিধা হয়েছে।’
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পরামর্শে ও ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ১৫ শতক জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে শিশু পার্কটি। এখানে আছে তিনটি দোলনা, দুটি স্লিপার, চার আসনের একটি ঘুড়নি, পানির ফোয়ারা, অভিভাবকদের বসার জন্য বিশ্রাম কক্ষ। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বাহারি ফুলের গাছ। সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকে এই পার্ক।
ভারশোঁ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের তথ্য অনুযায়ী, এলজিএসপি প্রকল্প ও পরিষদের নিজস্ব অর্থে নির্মাণ করা হয়েছে পার্কটি। এতে খরচ হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আগামীতে অর্থ সহায়তা পেলে পার্কের উন্নয়নের পাশাপাশি একটি লাইব্রেরি স্থাপনের পরিকল্পনা আছে আমাদের।’
ভারশোঁ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এসএম আব্দুস সালামের মন্তব্য, ‘যতদূর জানি, দেশের গ্রামীন জনপদ ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এই ধরনের পার্ক এটাই প্রথম। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছোট ছেলেমেয়েরা প্রতিদিন সকাল-বিকাল এখানে এসে খেলাধুলা করছে। ফলে তাদের মানসিক বিকাশ হচ্ছে।’
শিশু পার্ক স্থাপন প্রসঙ্গে মান্দা ইউএনও খন্দকার মুশফিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এমন সুবিধা সাধারণত শহুরে ছেলেমেয়েরা পেয়ে থাকে। ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদে সীমানা প্রাচীর থাকায় এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, বিনোদন ও শিশুদের মানসিক বিকাশের কথা ভেবে ইউপি চেয়ারম্যানকে একটি মিনি শিশু পার্ক ও একটি লাইব্রেরি তৈরির পরামর্শ দিয়েছি। মান্দা উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের যেখানে সীমানা প্রাচীর আছে, পর্যায়ক্রমে সেইসব স্থানেও মিনি শিশু পার্ক তৈরির চেষ্টা করবো।’