কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের নিভৃতপল্লী পাককৌলা গ্রামের তালবাড়িয়া বিল এখন অতিথি পাখির কলরবে মুখর। সকাল-বিকাল কিংবা সূর্যাস্তের সময় দলবেঁধে পাখির আকাশে ওড়ার অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। পাখির কিচিরমিচির আর জলে ডানা ঝাপটানোর শব্দে মুখর থাকে গোটা তালবাড়িয়া বিল।
চিকিৎসক সাদ্দাম হোসেন জুয়েল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই বিলে অতিথি পাখির সৌন্দর্য এককথায় মনোমুগ্ধকর। অতিথি পাখি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায়ও ভূমিকা রাখে।’
কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এসআই সোহেল বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে পাককৌলা গ্রামে শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখিরা আসছে। এখানে শামুকখোল, বক, বালিহাঁস, চাহা, রাজহাঁস, পাতি সরালীসহ নানান প্রজাতির পাখি দেখা যায়। বিলের ছোট ছোট মাছ আর শামুকই মূলত এসব পাখির প্রধান খাদ্য।
স্থানীয় তরুণ পাককৌলা গ্রামের সাজেদুল ইসলাম রকি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তালবাড়িয়া বিলে পাখির আগমন ঘটে শীতের শুরু থেকেই। তখন এটি হয়ে যায় তাদের আবাসস্থল। তারা মার্চ পর্যন্ত অবস্থান করে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাখির কলতানে মুখর থাকে বিল।
আগে আরও বেশি পাখি আসতো বলে দাবি একই গ্রামের আরেক তরুণ আরিফিন শুভর। কিন্তু বিলে পানি কমে যাওয়ার কারণে সেই সংখ্যা কিছুটা কমে গেছে। ভ্রমণপ্রেমী বেড়ে যাওয়াও এর অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করেন তিনি। তার মন্তব্য, ‘আগে এই বিলে পাখিদের পর্যাপ্ত খাদ্য ছিল। কিন্তু এখন মাছ চাষের কারণে এখন তা জোটে না।’
অতিথি পাখি যেন কেউ শিকার করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সামাদ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আছে নজরদারি।