অস্ট্রেলিয়ার এক স্কুল বালক বেড়ে ওঠার পর এয়ারলাইন চালুর স্বপ্ন দেখছে। তার বয়স মাত্র ১০ বছর, নাম অ্যালেক্স জ্যাকো। এজন্য কানটাস এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালান জয়েসের কাছে একটি চিঠি লিখে পরামর্শ চেয়ে বসেছে সে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি এখন ভাইরাল।
চিঠিটি টুইটারে শেয়ার করে কানটাস এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘আমাদের প্রতিযোগীরা সাধারণত পরামর্শ চায় না। কিন্তু একটি এয়ারলাইনের ক্ষুদে নেতা কড়া নাড়লো বলে উপেক্ষা করা গেলো না। স্বাভাবিকভাবে এক প্রতিষ্ঠানের সিইও না হলে অন্য সিইও পর্যন্ত যাওয়া যায় না।’
টুইটারে কানটাসের পোস্টে ‘লাভ’ পড়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি। চিঠিতে অ্যালেক্স জ্যাকোর দাবি, ওশিয়ানিয়া এক্সপ্রেস নামের একটি এয়ারলাইনের সিইও হিসেবে কাজ করে সে! অ্যালান জয়েসের প্রতি তার আহ্বান, ‘প্লিজ আমার ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিন। ইতোমধ্যে কী ধরনের বিমান আমার প্রয়োজন, ফ্লাইট নম্বর, ক্যাটারিংসহ বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে কাজ শুরু করেছি।’
অ্যালেক্সের দাবি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে সে ইতোমধ্যে একজন করে চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার, আইটি হেড ও হেড অব মেইনটেন্যান্স নিয়োগ দিয়েছে। তবে উদীয়মান এই উদ্যোক্তা বলছে, স্কুলের ছুটির দিনগুলোতে নতুন এয়ারলাইনের বিষয়ে অ্যালান জয়েসের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ নিতে আগ্রহী সে।
কানটাস সিইও’র কাছে কিছু সাধারণ টিপস চেয়েছে ছেলেটি। যেমন, ২৫ ঘণ্টার ভ্রমণে যাত্রীদের ভালো ঘুমের জন্য কী করা যেতে পারে। কারণ সিডনি/মেলবোর্ন থেকে লন্ডন রুটে ফ্লাইটের জন্য এ৩৫০ বিমান নেওয়ার কথা ভাবছে সে।
ছেলেটিকে নিরাপত্তা প্রাধান্য দেওয়া ও কেন্দ্রবিন্দুতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অ্যালান জয়েস। ক্ষুদে সিইও’কে তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়া থেকে লন্ডনে দীর্ঘ যাত্রার জন্য যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে ভিন্ন ডিজাইনের বিমান বেছে নেওয়া হয়। কানটাস অপারেশন সেন্টার ঘোরা ও সৃজনশীল আইডিয়া নিয়ে ব্যক্তিগত বৈঠকের জন্য এই বালককে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
অ্যালেক্স জ্যাকোর চিঠিতে সাড়া দেওয়া প্রসঙ্গে অ্যালান জয়েস জানান, সাধারণত প্রতিযোগীদের পরামর্শ দেন না তিনি। তবে এই ছেলেটির ব্যাপার আলাদা। তার মন্তব্য, ‘ফ্লাইট ও এভিয়েশনের সম্ভাবনা নিয়ে একটা বালকের এত কৌতূহল এড়িয়ে যাওয়া যায় না।’
সূত্র: সিএনএন