X
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবন ও কক্সবাজারে হচ্ছে নিবিড় পর্যটন অঞ্চল: সচিব

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৩ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৩৬আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৪৩

কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ও দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার নিয়ে সরকার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। পর্যটনের বিকাশে সুন্দরবনের কাছে ও কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হবে। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘উন্নয়ন ভাবনায় পর্যটন’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান তিনি।

সচিব বলেন, ‘আমাদের অন্যতম পর্যটন স্পট বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনকে নিয়ে আমরা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছি। সুন্দরবনের কাছে পর্যটন বিকাশে একটি নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হবে। এর উন্নয়নে বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে মন্ত্রণালয়।’

দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক আকর্ষণ কক্সবাজারকে পর্যটক বান্ধব করা যায়নি বলে স্বীকার করেছেন মো. মহিবুল হক। তার মন্তব্য, ‘পরিতাপের বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত কোনও পর্যটক কক্সবাজার বেড়াতে গেলে সমুদ্র দেখা ছাড়া আর করণীয় কিছু থাকে না। এই সীমাবদ্ধতা দূরীকরণে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশকে নিবিড় পর্যটন অঞ্চল ঘোষণা করেছে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনার আওতায় পর্যটন শিল্পের বিকাশে যথাযথ সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়া কক্সবাজারে পর্যটকদের বিনোদনের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে উদ্যোগ নিচ্ছি আমরা। কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনায় বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের চিত্তবিনোদনের সব সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।’

বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় পর্যটনের বিকাশে বিশেষ পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও জানান সচিব। তিনি বলেন, ‘এই তিন পাহাড়ি জেলাকে পর্যটনবান্ধব করে তুলতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে থাকবে আকর্ষণীয় উপজাতীয় সংস্কৃতিকে পর্যটকদের কাছে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা। জেলা তিনটির পাহাড়, নদী ও লেকের সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে তুলে ধরবো আমরা।’

ধর্মীয়, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটন স্থাপনাগুলোতে পর্যটকদের সব সুবিধা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সচিব। একইসঙ্গে সরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সব বেসরকারি সংস্থাকেও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তার মন্তব্য, ‘পর্যটন শিল্পের বিকাশে আমাদের সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও প্রচারণা নিশ্চিত করতে হবে। প্রচার ছাড়া পর্যটন শিল্পকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব নয়।’

সচিব মনে করেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দরকার সমন্বিত উদ্যোগ। তার কথায়, ‘আমাদের যেসব পর্যটন স্পট আছে তা এখনও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে পূর্ণাঙ্গভাবে তুলে ধরা যায়নি। পর্যটন স্পটগুলোর প্রচারে মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আমরা স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে কাজ করছি।’

/সিএ/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নারিনকে ছাপিয়ে বাটলার ঝড়ে রাজস্থানের অবিশ্বাস্য জয়
নারিনকে ছাপিয়ে বাটলার ঝড়ে রাজস্থানের অবিশ্বাস্য জয়
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
অপরাধে জড়িয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের সংশোধনের উপায় কী
অপরাধে জড়িয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের সংশোধনের উপায় কী
সর্বাধিক পঠিত
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের
উৎসব থমকে যাচ্ছে ‘রূপান্তর’ বিতর্কে, কিন্তু কেন
উৎসব থমকে যাচ্ছে ‘রূপান্তর’ বিতর্কে, কিন্তু কেন
চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে নতুন ব্যবস্থা আসছে
চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে নতুন ব্যবস্থা আসছে
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়