X
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঘুরে আসুন সোনারগাঁ-পানাম নগর (ভিডিও)

জার্নি রিপোর্ট
২০ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৩৫আপডেট : ২১ আগস্ট ২০১৯, ১৯:৩৫

রাজধানী ঢাকা থেকে ২৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ঐতিহাসিক স্থান সোনারগাঁ। এতে অবস্থিত বাংলাদেশ লোকশিল্প জাদুঘর। এখানকার স্নিগ্ধ প্রাকৃতিক ছায়া-ঢাকা পরিবেশ ও ঐতিহাসিক নিদর্শন মনে করিয়ে দেয় বাঙালির ইতিহাস।

গবেষকদের মতে, সোনারগাঁয়ের প্রচীন নাম ছিল সুবর্ণবীথি বা সুবর্ণগ্রাম। সেখান থেকেই মুসলিম আমলে নামকরণ হয় সোনারগাঁ। অনুমান করা হয়, ১২৮১ খ্রিষ্টাব্দে সোনারগাঁয়ে মুসলিম আধিপত্যের সূচনা হয়। ১৩৩৮ খ্রিষ্টাব্দে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ সোনারগাঁকে স্বাধীন ঘোষণা করেন। তখনই সোনারগাঁ বাংলার স্বতন্ত্র রাজধানী হিসেবে মর্যাদা পায়।

সোনারগাঁয়ে অবস্থিত প্রাচীন নিদর্শন বড় সর্দার বাড়ি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এটি সোনারগাঁয়ের স্মৃতিঋদ্ধ ইমারত। সর্দার বাড়ির সুপ্রাচীন স্থাপত্যশৈলী মোগল, বার ভূঁইয়া ও ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলের অভিজাত ভবনের স্বাক্ষর বহন করছে।

বাংলাদেশ লোকশিল্প জাদুঘর থেকে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে পানাম নগর। একসময় সোনারগাঁয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল এটি। তখন থেকে পানাম নগর অতীতের সমৃদ্ধশালী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। এর চারদিকে পরিখার মধ্যভাগে নির্মিত হয়েছিল লাল ইটের ইমারত। ব্রিটিশ আমলে ইংরেজরা এখানে নির্মাণ করেছিল নীলকুঠি। জমিদার ও ব্যবসায়ীরা এখানে এসে রাস্তার দু’ধারে আবাসিক কোয়ার্টার নির্মাণ করেছিলেন।

আনুমানিক ৫ মিটার প্রশস্ত ও ৬০০ মিটার দীর্ঘ রাস্তার দু’ধারে গড়ে ওঠে পানাম নগর। বর্তমানে রাস্তার উত্তর পাশে ৩১টি ও দক্ষিণ পাশে ২১টিসহ মোট ৫২টি ইমারত রয়েছে। ইউরোপীয় স্থাপত্যের অনুকরণ রূপায়িত হয়েছে ইমারতগুলোর নকশায়। প্রতিটি ইমারত প্রাচীনকালের গৌরবময় ইতিহাসের পরিচয় বহন করে।

ভিডিও: শেরিফ আল সায়ার

/এসএএস/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় দ্রুত জাতীয় নির্বাচন: ড. আব্দুল মঈন খান
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় দ্রুত জাতীয় নির্বাচন: ড. আব্দুল মঈন খান
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রোহিতের নামে স্ট্যান্ড
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রোহিতের নামে স্ট্যান্ড
তিন আসামিকে খালাস, রায় ‘মেনে নিতে পারছেন না’ শিশুটির মা
তিন আসামিকে খালাস, রায় ‘মেনে নিতে পারছেন না’ শিশুটির মা
১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প
১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প
সর্বাধিক পঠিত
চার দশক পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ
চার দশক পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ
গুলিস্তানে জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এনসিপি’র যুবশক্তির নেতাদের হট্টগোল
গুলিস্তানে জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এনসিপি’র যুবশক্তির নেতাদের হট্টগোল
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ উদ্বেগজনক: দ্য ডন
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ উদ্বেগজনক: দ্য ডন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন স্থগিত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন স্থগিত
কক্সবাজার থেকে উড্ডয়নের পর খুলে পড়লো বিমানের চাকা
কক্সবাজার থেকে উড্ডয়নের পর খুলে পড়লো বিমানের চাকা