প্রশ্ন: আমার বয়স ৫০ বছর। বারো বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছি। এরপর এক মেয়ে নিয়ে বাবার বাসায় আছি। কিন্তু আমি খুব বিষণ্ণতায় ভুগি। মেয়েটার পড়াশোনা বা যত্ন নিয়ে খুব চাপ বোধ হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় সুইসাইড করি। কিন্তু মেয়ের কথা ভেবে পারি না।
উত্তর: আপনার এই বয়সে বিষণ্ণতার ঝুঁকি এমনিতেই বেশি। বিষণ্ণতার কারণে কাজে আগ্রহ ও মনযোগ কমে যায়। তাই মেয়ের পড়াশোনা বা যত্ন নিয়ে খুব চাপ বোধ করেন। আপনার মেয়ে আপনার আদর্শ ধারণ করেই বড় হচ্ছে। তাই তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আপনি আপনার কাজগুলোকে দায়িত্ব হিসেবে না দেখে মেয়ের প্রতি আপনার ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে দেখুন। কারণ মেয়ের কারণেই আপনি সুইসাইড করছেন না। আপনি ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খান। লোহার কড়াইয়ে রান্না করা খাবার খাবেন, বেশি করে প্রাণীজ প্রোটিন ও ফ্যাট এবং ডিম খাবেন। কম কর্বোহাইড্রেট খাবেন, আপনার বিষণ্ণতা কেটে যাবে। আরও সহায়তা চাইলে আমার পূর্বপ্রকাশিত উত্তরগুলো দেখুন।
প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৫ বছর। দশ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু একদিনও সংসার করা হয়নি। ছেলের অন্যত্র সম্পর্ক ছিল, সে বাবা মায়ের কথায় বাধ্য হয়ে বিয়ে করেছিল। ঐ ডিভোর্সের পর থেকে আজ পর্যন্ত বিয়ের কথা ভাবতে পারি না। আমি কোনও ছেলেকে বিশ্বাস করতে পারি না। আমি বুঝি সব ছেলে খারাপ না। কিন্তু মন থেকে আর আগ্রহ পাই না।
উত্তর: জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করাটা বোকামি হবে। এটি প্রাকৃতিকভাবে যার যখন হওয়ার, তার তখনই হবে। প্রকৃতির নিয়মেই হবে। আপনি আপনার পেশা ও প্যাশনের মাঝে সমন্বয় সাধন করার চেষ্টা করুন। আপনার জীবনে চ্যালেঞ্জ আছে বলেই আপনি কখনও বোরডোমে ভোগেন না। জীবন চলার পথ সরলরৈখিক নয়, বরং আঁকাবাঁকা। এটাকে মেনে নিয়ে বিক্ষিপ্ত লক্ষ্য অনুসন্ধান না করে সে ভার আপনার প্রবৃত্তির (ইন্সটিংট) উপর ছেড়ে দিন। সে আপনাকে গাইড করবে। কোনও কিছু নিয়েই জোরাজুরি করা বন্ধ করুন। মন যেটা করতে চায় সেটাই করুন। কারণ সেটাই আপনার অনন্য এবং অপরিবর্তনীয় বৈশিষ্ট্য।