এক সন্তানের মা বিপাশা। ঈদের শপিং বেশ আগেই সেরে ফেলেছেন। সন্তানের পোশাক কেনার বিষয়ে তিনি তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেন, ১) কাপড়ের ধরন, ২) সাইজ ৩) ঋতু। তিনটি বিষয়কেই প্রাধান্য দিয়ে এই ঈদেও মেয়ের জন্য কেনাকাটা করেছেন তিনি। এই তিনের সঙ্গে যোগ হয়েছে রঙ। যেহেতু উৎসব তাই রঙ হবে ঝলমলে।
বিপাশা জানালেন, ঋতু অনুযায়ী এখন বর্ষাকাল, বৃষ্টি-কাদার সঙ্গে রয়েছে প্যাচপ্যাচে গরম। তাই এখন আরামদায়ক সুতি কাপড়টাকেই তিনি প্রাধান্য দিতে চান। বিপাশার মতো অনেক অভিবাবকই ঈদে সূতি কাপড় বেছে নিচ্ছেন। তবে বাজারে কিন্তু নানা ধরনের জামাতে সয়লাব।
ঈদকে কেন্দ্র করে নানান রকমের আনারকলি জামা ও লেহেঙ্গা পাওয়া যাচ্ছে খুব বেশি। বেশ বড় ঘের যুক্ত এই পোশাক গুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেলেও আরাম আর বৃষ্টি ঋতুকে সামনে রেখে অভিবাবকরা খুঁজছেন সুতির পোশাক। সুতি কাপড়েও এসেছে ভিন্নতা। সুতির জামাগুলোতে লেস, ফিতা, কারচুপি ও স্টোনের কাজ করে বেশ জমকালো করে তৈরি করা হয়েছে। আর নিয়মিত ফ্রক ও স্কার্ট তো আছেই।
এতো গেল মেয়ে শিশুদের পোশাক। ছেলেদের জন্য প্রধান ঈদ পোশাক পাঞ্জাবি। এক্ষেত্রে সুতির বিকল্প কমই আছে। সর্বোচ্চ এসেছে সিল্কের পাঞ্জাবি। শিশুদের জন্য সিল্কের পাঞ্জাবি অনেক অভিবাবকই এড়িয়ে চলেন। এবার ছেলেদের প্রচুর হাফ শার্ট এসেছে। রয়েছে টি-শার্ট। শিশুদের এসব পোশাকের দাম পড়বে ৫০০টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা।
তবে শিশুদের জন্য যেই পোশাক কিনুন না কেনও নিচের কয়েকটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন-
১। চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করে এমন পোশাক শিশুকে দেওয়া যাবে না।
২। যেহেতু তারা পোশাক ময়লা করে ফেলবে তাই বারবার ধোয়ার উপযোগি কাপড় বেছে নেওয়াই উত্তম। ঈদের দিন বাচ্চাদের কাপড় ধুয়ে দেওয়ার অভিজ্ঞতা কমবেশি সব মায়েরই আছে। তাই বেশি দামে একটি পোশাক না কিনে কয়েকটি পোশাক কিনে দিন একই বাজেটের মধ্যে।
৩। শিশুদের নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী পোশাককে প্রাধান্য দিন। তবে কোনও কার্টুন, কমিক চরিত্র এড়িয়ে চলাই উত্তম।
৫। পোশাকে রঙের আধিক্য থাকা বাঞ্চনীয়
৬। পোশাকটি দামী নয় আরামদায়ক হওয়া উচিত।
আপনার সন্তানের ঈদটি যেনও হয় আরামদায়ক ও আনন্দায়ক।
মডেল: রাজেশ্বরী, রাফিন, আদৃতা, নুহান।
পোশাক: মাদল ও বেস্ট বাংলাদেশ।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।
/এফএএন/