X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঈদ প্রস্তুতি

জমে উঠেছে যশোরের ‘গরিবের মার্কেট’

যশোর প্রতিনিধি
০৪ জুলাই ২০১৬, ১২:০৬আপডেট : ০৪ জুলাই ২০১৬, ১২:০৯
image

ফুটপাথের নামহীন এক দোকান থেকে ৯০ টাকার একটি লাল টুকটুকে জামা পেয়ে যেন ঈদের চাঁদটাই হাতে পেয়েছে সাবিনা সুলতানা নামের সাত বছরের এক শিশু।

তার নানি শহরের বকচর এলাকার খাদিজা জানান, তিনি স্থানীয় এক ছাত্রাবাসে রান্নার কাজ করেন। বুধবার দুপুরে মাইনের টাকা পেয়ে নাতনিকে নিয়ে বাজারে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আসা হয়নি। এজন্য মেয়েটা সেদিন  রাগ করে ভাত খায়নি। তাই জামা পেয়ে সে আজ বেজায় খুশি।

জমে উঠেছে যশোরের গরিবের মার্কেট

আর কয়েকদিন পরেই ঈদুল ফিতর। উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ধনী-গরিব সকলেই তাদের সাধ্যমত কেনাকাটা করছেন।

যারা একটু বেশি সামর্থবান, তারা যাচ্ছেন শহরের অভিজাত বিপণীবিতানে। আর সামর্থ্য কম এমন নিম্ন ও মধ্যআয়ের মানুষজন যশোর শহরেরগ ‘গরিবের মার্কেট’ বলে খ্যাত মুজিব সড়কের ফুটপাথে ভিড় করছেন।

যশোর শহরের মুজিব সড়কের ফুটপাথের উপর গড়ে ওঠা মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা এসব দোকানে নানান রংয়ের পোশাক থরে থরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রেতার সংখ্যাও বেশ। দোকানদারদের দম ফেলার যেন সময় নেই।

কথা হয় ধর্মতলা এলাকার গৃহবধূ বিলকিস বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমার তিন ছেলে মেয়ে। তাগের বড় দোকান থেকে ঈদ জামা কিনে দিতি গেলি অনেক টাকা দরকার। সেই টাকা আমার নেই। তাই এই জায়গায় আইছি। বড় ছেলের জন্যি জামা আর প্যান্ট কিনিছি সাড়ে পাঁচশ টাকা দিয়ে। দুই মেয়ের জন্যি কম দামের ভাল জামা খুঁজতিছি।”

জমে উঠেছে যশোরের গরিবের মার্কেট

রবিউল ইসলাম ও বাবলু নামে দুইজন বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই মার্কেটে ছোট-বড়, ছেলে- মেয়ে সব বয়সীদের জামাকাপড় পাওয়া যায়। তবে ছোটদের জামাকাপড় বেশি বিক্রি হয়। এই মার্কেটে ছোটদের পাঞ্জাবি ১৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় আর শার্ট বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে।

১০-১২ বছরের ছেলেদের প্যান্ট ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় আর শার্ট ১৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে ছেলেদের থেকে মেয়েদের পোশাকের দাম অপেক্ষাকৃত বেশি। মেয়েদের ফ্রকসহ বিভিন্ন পোশাক বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে।

সরেজমিন দেখা যায়, এই মার্কেটের ক্রেতা শুধু গরিব মানুষই নয়, অনেক ধনীরাও এখান থেকে পোশাক কিনছেন।

নাম প্রকাশ না করে বেজপাড়া এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, “বাসার কাজে সাহায্য করেন যিনি তার ছেলেমেয়েকে দেওয়ার জন্য জামা কিনতে এসেছি। পছন্দ হলে গেছে বলে নিজের ছেলের জন্যও প্যান্ট কিনেছি। ঈদের আগে এখানে আরেকদিন আসার ইচ্ছা আছে।”

ফুটপাথের এইসব দোকানে বিক্রি বেশ ভালোই বললেন আলমগীর নামে একজন দোকানি। তিনি বলেন, “এখন সমস্যা একটা, তা হলো যখন তখন বৃষ্টি। বৃষ্টি এলেই দোকানের ঝাঁপ নামিয়ে কাপড়-চোপড় রক্ষা করতে হয়।”

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে 'দেরি করে আসায়' ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
শেষ দিকে বৃথা গেলো চেষ্টা, ৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান 
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা