২০০৮ সালে নিজের একক অ্যালবাম "নাইনটিন " বের করার পর পরই লন্ডনের ব্রিট স্কুলের সাধারণ এক ছাত্রী থেকে আন্তর্জাতিক সুপারস্টার বনে যান ব্রিটিশ গায়িকা অ্যাডেল। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৮ বছর। তিনি ৮ বছরের দীর্ঘ সময়ে যেমন আরও দুটি এলবাম বের করে নিজের মনোমুগ্ধকর গান দিয়ে কোটি কোটি দর্শকশ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছেন তেমনি তার ক্যারিয়ারের সাফল্য দিয়ে ভেঙেছেন অসংখ্য সব রেকর্ড। তবে বিগত বছরগুলোতে অ্যাডেলের ক্যারিয়ার বদলাবার সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছেন তিনি নিজেও। অ্যাডেলের জনপ্রিয়তা যেমন ঈর্ষণীয় তেমনি স্থূলকায় শরীরের মেদ ঝড়িয়ে আকর্ষণীয় হবার যাত্রাটা কেবলই এক অনুপ্রেরণার কাহিনী।
২০০৮ সাল নাগাদও এডেল তার স্থুলকায় শরীর ঢাকার জন্য ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে কাল রংয়ের কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দিতেন। কিন্তু ২০০৯ সালে নিজ প্রথম অ্যালবামের সাফল্য ধরে নিজেকে হালকা পাতলা বদলানো শুরু করেন তিনি। ২০১১ সালের মার্চ মাসেই তার সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা যায় যখন তিনি তার লন্ডনের বাড়ির কাছাকাছি পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি হন। সেই বছরই এডেলের "টুয়েন্টি ওয়ান " অ্যালবামটি রিলিজ হয় এবং ভোকাল কর্ডে সমস্যা থাকার কারণে অপারেশন হয় তার। ২০১১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সুস্থ হয়ে আরও আকর্ষণীয় আকারে ক্যামেরার সামনে হাজির হন তিনি।
২০১২ সালের ব্রিট এওয়ার্ডস এ রঙিন গাউনে বেশ গ্ল্যামারাস ভাবেই উপস্থিত হন তিনি। এরপর ২০১২ সালের শেষ নাগাদ নিজের প্রথম সন্তান হওয়ায় বেশ খানিক সময় লাইমলাইট থেকে দূরে থাকেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে গ্র্যামি এওয়ার্ডে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে আরও স্লিম ফিগারে উপস্থিন হন অ্যাডেল। ২০১৪ সালের মে মাসে কেটি পেরির সাথে এক সেলফিতে অবাক করা রূপে নজরে আসেন অ্যাডেল। শেষমেশ ২০১৫ সালে তার তৃতীয় এলবাম "টুয়েন্টি ফাইভ" হতে রিলিজ হওয়া "হ্যালো" গানে তাকে অন্য যেকোনও সময়ের তুলনায় স্লিম আর সুন্দর লাগে। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে গানটি বিশ্বজুড়ে সব রেকর্ড ভেঙে ২০১৫ সালের সেরা গান নির্বাচিত হয় তবে গানটির ভিডিওতে অ্যাডেলের পরিবর্তিত লুক সবাইকেই তাক লাগিয়ে দেয়।
এক সাক্ষাতকারে অ্যাডেল বলেন, "আমি জিমে যাই নিজের ওজন কমানোর জন্য, আমি সাইজ জিরো হতে চাই না। আমার ব্যায়াম করতে একদমই ভাল লাগে না, তবুও করি নিজের ভালোর জন্যই।" জিমে যাওয়া ছাড়াও তিনি সবধরনের চিনি জাতীয় পানীয়, প্রসেসড খাবার, এলকোহল আর চর্বি জাতীয় খাবার ছেড়ে দিয়েছেন বহু আগেই। অ্যাডেলের ডায়েট প্ল্যানার জেনিফার ইরভাইন জানান তার নিয়ন্ত্রিত ডায়েট চার্টে বেশি বেশি করে শাকসবজি, ফলমূল এবং কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাছাড়া তিনি পাতাজাতীয় খাবার বেশি খান যা শরীরের মেদ ঝরাতে দ্রুত কাজ করে।
/এফএএন/