ঢাকার আশেপাশে একদিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে ঘুরে আসতে পারেন টাঙ্গাইলের মহেড়া জমিদার বাড়ি থেকে। জমিদার বাড়ির অপূর্ব কারুকাজ ও নির্মাণশৈলী আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত।
বিশাল এলাকা জুড়ে মহেড়া জমিদার বাড়ি অবস্থিত। হঠাৎ দেখলে মনে হবে সবুজ ঘাসের চাদরে যেন ফুটে আছে বিশাল শ্বেতপদ্ম! একটি নয়, পাশাপাশি কয়েকটি ভবন দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। আভিজাত্যের ছোঁয়া রয়েছে প্রতিটি প্রাসাদজুড়েই। জমিদার বাড়ির সামনে রয়েছে পুকুর। চাইলে পুকুরে ঘুরতে পারবেন নৌকায়। রয়েছে বিশাল বাগান। বাগানে আনমনে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিতির পাখি।
১৮৯০ সালে তৎকালীন জমিদারগণ চার ভাই মিলে জমিদারি পত্তন করেন। তাদের নাম বুদাই সাহা, বুদ্ধু সাহা, হরেন্দ্র সাহা এবং কালীচরণ সাহা। তারা সাহা পদবী ধারণ করেই শুরু করেন জমিদারি। তবে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম সবাই রায় চৌধুরী পদবী গ্রহণ করেন। জমিদার বাড়ি নির্মাণ হয় চার অংশে।
মহেড়া জমিদার বাড়িটি মূলত চারটি ভবনে বেষ্টিত। মহারাজ লজ, আনন্দ লজ, চৌধুরী লজ এবং কালীচরণ লজ। বাড়িটির মোট ৮ একর জমির উপর অবস্থিত। এখানে বাসভবন, কাছারি ভবন, পুকুর এবং মাঠ রয়েছে।
১৯৭২ সালে মহেড়া জমিদার বাড়িটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জোনাল পুলিশ তট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৯০ সালে এটিকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে উন্নীত করা হয়।
যেভাবে যাবেন
ঢাকার মহাখালী থেকে সরাসরি টাঙ্গাইলের বাস রয়েছে। মহেড়া জমিদার বাড়ি যাবেন বললেই নামিয়ে দেবে। জামুর্কী বাস স্ট্যান্ডে নেমে সিএনজিতে যেতে পারবেন মহেড়া জমিদার বাড়ি। ঢুকতে হলে টিকেট করতে হবে জনপ্রতি ৫০ টাকা।
/এনএ/