X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

আড়াইশ’ বছরের ঐতিহ্য : কান্তজিউ বিগ্রহ গেল রাজবাড়িতে

বিপুল সরকার সানী
২৭ আগস্ট ২০১৬, ১৫:৫৬আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০১৬, ১৬:০৪

 

আনন্দের সঙ্গে পালিত হচ্ছে এই দিন...

আড়াইশ’ বছরের পুরানো ঐতিহ্য ও রাজ পরিবারের প্রথা অনুযায়ী দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী কান্তনগর মন্দির হতে শ্রী শ্রী কান্তজীউ বিগ্রহ নৌপথে দিনাজপুর শহরের রাজবাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের ভগবান শ্রী কৃষ্ণের আরেক রুপ কান্তজীউ বিগ্রহ নিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে পূর্ণভবা নদীর তীর ভক্ত-পূণ্যার্থীর ভীড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উৎসবের আমেজে পরিণত হয়।

দিনাজপুর রাজবংশের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৫শ’ বছর আগে। সেই বংশের রাজা প্রাণনাথ ১৭২২ সালে দিনাজপুর শহর থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার কান্তনগর এলাকায় কান্তজিউ মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৭৫২ সালে এই মন্দিরের কাজ শেষ করেন তার পোষ্যপুত্র রামনাথ। সেই সময় থেকেই কান্তজিউ বিগ্রহ নয় মাস কান্তনগর মন্দিরে এবং তিন মাস দিনাজপুরের শহরের রাজবাড়িতে রাখা হয়। জন্মাষ্টমীর একদিন আগে কান্তজিউ বিগ্রহ ধর্মীয় উৎসব-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে নিয়ে আসা হয়।

ঘাট ছাড়ছে বিগ্রহ বহনকারী নৌকা

সেই রীতি অনুযায়ী গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঐতিহ্যবাহী কান্তনগর মন্দির হতে পূজা অর্চনা শেষে শ্রী শ্রী কান্তজিউ বিগ্রহ পূর্ণভবা নদীর কান্তনগর ঘাটে আনা হয়। সেখান থেকে বিশাল নৌবহর নিয়ে যাত্রা শুরু হয় দিনাজপুর শহরের সাধুঘাটের উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ প্রায় ২৫ কিলোমিটার নদীপথে কান্তনগর ঘাট থেকে দিনাজপুর শহরের সাধুরঘাট পর্যন্ত ৩০টি ঘাটে কান্তজিউ বিগ্রহ বহনকারী নৌকা ভিড়ানো হয়। নৌকাযোগে দিনাজপুর আসার সময় হিন্দু ধর্মালম্বী হাজার হাজার ভক্ত নদীর দু’কুলে কান্তজিউ বিগ্রহকে দর্শন এবং বাড়ীর বিভিন্ন ফল, দুধ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদী নিয়ে শ্রী শ্রী কান্তজিউ বিগ্রহকে উৎসর্গ করার জন্য নিয়ে আসে। এসময় নদীর দু’কূল সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্যদের ভীড়ে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।

পানিতে নেমে বিগ্রহ বিদায় দিচ্ছেন ভক্তরা

উচ্ছসিত ভক্ত

ভক্তদের ভিড়

/এফএএন/

সম্পর্কিত
দাবদাহে পুড়ছে শহর (ফটো স্টোরি)
প্রথম দিনেই জমে উঠেছে চকবাজারের ইফতার বাজার (ফটো স্টোরি)
অনন্ত-রাধিকার বিয়ের জমকালো অন্দরসজ্জা দেখে নিন ছবিতে
সর্বশেষ খবর
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা প্যাকেজ পাস
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা প্যাকেজ পাস
এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে প্রাণ গেলো একজনের, আহত ১০
এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে প্রাণ গেলো একজনের, আহত ১০
বেসিস নির্বাচনে ১১ পদে প্রার্থী ৩৩ জন
বেসিস নির্বাচনে ১১ পদে প্রার্থী ৩৩ জন
সিঙ্গাপুরে রডচাপায় বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যু
সিঙ্গাপুরে রডচাপায় বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক