রং নিয়ে আঁকিবুঁকি করার অভ্যাস আছে? তবে আপনার জুতা জোড়াই হয়ে যাক ক্যানভাস! পছন্দমতো অ্যাক্রেলিক রং দিয়ে সাজিয়ে নিন জুতা। ফ্যাশনেবল জুতা নজর কাড়বে সবার। জেনে নিন কীভাবে রং দিয়ে জুতা সাজাবেন-
প্রথমেই ঠিক করুন কোন রঙে নকশা করবেন জুতায়। সে হিসেবে জুতা কিনুন। অ্যাথলেটিক জুতা বা চামড়ার জুতা কিনবেন না। খুব বেশি ডিজাইন করা বা লেখালেখি আছে এমন জুতাও কিনবেন না। উঁচু ধরণের কনভার্স কিনতে পারেন। এতে ডিজাইন করার যথেষ্ট জায়গা পাবেন। আর যদি কম ডিজাইন করতে চান তবে ফ্ল্যাট জুতা কিনুন। সাদা বা হালকা রঙয়ের জুতা কিনলে ফেব্রিক কালার ও ফেব্রিক মার্কার দিয়ে ডিজাইন করতে পারবেন। তবে গাঢ় রঙয়ের জুতায় ডিজাইন ফুটিয়ে তুলতে হলে অ্যাক্রেলিক রং লাগবে। লাল, নীল, হলুদ, খয়েরি, সাদা এবং কালো রং দিয়ে কাজ করুন। তাহলে নকশা ভালোমতো ফুটে উঠবে। একটির সঙ্গে আরেকটি রং মিশিয়ে নতুন রংও তৈরি করতে পারেন।
যা যা লাগবে
- ফেব্রিকের হালকা রঙয়ের কেডস বা কনভার্স
- অ্যাক্রেলিক রং
- নাইলনের ছোট পেইন্ট ব্রাশ
- রং রাখার জন্য পেপার প্লেট
- একটি কালো শারপি
- ক্রাইলোনের স্প্রে
- গ্লিটার এবং মার্কারও ব্যবহার করতে পারেন চাইলে
যেভাবে তৈরি করবেন-
- আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড যদি সাদা পান তাহলে বেজ কালার যোগ করার দরকার নেই। অন্যথায় বেজ কালার যোগ করুন। এবার যে ডিজাইন চান সেটা পেনসিল দিয়ে বেজ কালারের উপরে এঁকে নিন। কালো রং দিয়ে পেনসিলের দাগের উপর আঁকুন। রং শুকানোর সময় দিন। তারপর হালকা সাদা আর খয়েরি মিশিয়ে সতেজ করুন রং।
- বেজ কালার পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে স্কেচ করা শুরু করুন। ভুল হওয়ার ভয় থাকলে আগে পেনসিল দিয়ে এঁকে নিন।
- স্কেচের ভেতরে ডিটেইলগুলোর দিকে খেয়াল রাখুন। এক্সট্রা আউটলাইন দিয়ে সেগুলোকে আরও দৃষ্টিগোচর করতে পারেন।
- এবার ক্রাইলোনের ভার্নিস স্প্রে নিন আঁকানো অংশে। করে ফেলুন। তবে আগে অবশ্যই রং শুকিয়ে নেবেন। স্প্রে খুব বেশি দেবেন না। সবশেষে জুতা শুকিয়ে নিন।
- তৈরি হয়ে গেল আপনার অ্যাক্রেলিক দিয়ে পেইন্ট করা জুতা!
/এনএ/