X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঈদের ভিড়

মো: আসাদুজ্জামান সরদার, সাতক্ষীরা
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৫:৫০আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৫:৫২

 

মোজাফফর গার্ডেন

ঈদ পার হয়েছে একদিন আগে, কিন্তু সাতক্ষীরার বিনোদন কেন্দ্র ও সিনেমা হলগুলো দেখে বোঝার উপায় নেই। ঈদের ছুটিতে সাতক্ষীরার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পরিবার-পরিজন নিয়ে সকল শ্রেণি পেশার হাজারও মানুষের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে উঠেছে। সকল বয়সের মানুষের পাশাপাশি তরুণদের মাঝে বেশি উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। অনেকে তুলছেন ছবি তুলছেন কেউ সেলফি তুলছেন।

সকল বয়সের মানুষের পদ চারণায় মুখরিত সাতক্ষীরা সুন্দরবনের কলাগাছিয়ার আব্দুর রাজ্জাক শিশু পার্ক, মোজাফফর গার্ডেন, আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম, উড়াল উড়াল মন ট্যুরিজম, কারামোরা ম্যানগ্রোভ ভিলেজ, লিমপিড গার্ডেন, ঐতিহাসিক বনবিবি তলা (বটগাছ), রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যাটন কেন্দ্র, সীমান্তের ইছামতি নদীর তীরে টাকীর ঘাট, শ্যামনগর জমিদার বাড়ি, নলতা রওজা শরীফ, সোনাবাড়িয়া মঠ মন্দিরসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ঈদ উপলক্ষে এইসব বিনোদনকেন্দ্র সেজেছে নবরূপে। সব বয়সী মানুষের ভিড় জমলেও সিংহভাগ দখল করে রাখে শিশুরা ও তরুণরা।

সব এলাকায় দেখা গেছে একই চিত্র। মা-বাবার হাত ধরে, কেউবা ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজনের হাত ধরে ঘুরছে। শুধু শিশুরাই নয়, শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকরাও কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যাচ্ছেন আনন্দের রাজ্যে।

আকাশলীনা সুন্দরবন

গ্রাম থেকে শহর ছুটে বেড়াচ্ছে শিশু ও তরুণরা। ছোট ছোট পিকআপ ভাড়া করে লাউডস্পিকার/সাউন বক্স লাগিয়ে বিভিন্ন গান বাজনা করে ঘুরে বেড়াচ্ছে তরুণরা। সীমান্তের ইছামতির নদীর তীর বা ভোমরা স্থলবন্দরেও মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের খবর এসেছে।

অনেকে পরিবার-পরিজন সাথে নিয়ে মাইক্রোবাস বা মোটরসাইকেলে হাজার হাজার মানুষ আসছেন এসব এলাকায়। সঙ্গে এনেছেন পরিবার-বন্ধু-স্বজন বা শুভাকাক্ষীদের। তুলছেন ছবি তুলছেন সেলফি।

মোজাফফর গার্ডেনে ঘুরেতে আসা রফিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ঈদের দিন ঘুরতে পারিনি তো কি হয়েছে। আজ পরিবার নিয়ে ঘুরতে এলাম অনেক ভালো লাগছে।

সুন্দরবন সংলগ্ন আকাশলীনায় ঘুরতে আসা রুবেল হোসেন দম্পতি বলেন, আমরা ঢাকায় থাকি এজন্য  গ্রামের বাড়ি ঈদ করতে এলে পরিবারসহ সুন্দরবন থেকে বেড়িয়ে যাই। সুন্দরবন আমাদের খুব টানে। আজ ঈদের পরদিন বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়াচ্ছি। খুব ভাল লাগছে।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, জেলার মানুষ যারা বাহিরে থাকে তারা সকলে নাড়ির টানে নিজ এলাকায় ফিরেছেন। অনেকে ঈদের দিন বেড়িয়েছেন অনেক কোরবানি দিতে গিয়ে বের হতে পারেননি। তারাও জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এজন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোর কোথাও যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

/এফএএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?
বিশ্ব যকৃৎ দিবসফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?
শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিস
শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিস
ভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
বায়ার্নের নজরে থাকা নাগেলসমানের সঙ্গে জার্মানির নতুন চুক্তি
বায়ার্নের নজরে থাকা নাগেলসমানের সঙ্গে জার্মানির নতুন চুক্তি
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!