X
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০

পাহাড় ও অরণ্যের গহীনে

পথিক হালদার
২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ১৮:১৬আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০১৭, ১৮:৩৭

প্রথম দিনের ক্যাম্পিং সাইট পাহাড়ের ডাক অগ্রাহ্য করার জো নেই। তাই এবার ডাক আসতেই ঘুরে এলাম বান্দরবানের মিরিঞ্জা ও চিম্বুক রেঞ্জ থেকে। খুব কাছ থেকে দেখে এলাম পাহাড়ের রূপরহস্য ও এখানকার আদিবাসীদের জীবনযাত্রা।

সপ্তাহখানেকের জন্য যাবতীয় খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ, রান্নার জিনিসপত্র, তাবু ও আনুষঙ্গিক সবকিছু ব্যাকপ্যাকে পুরে বেরিয়ে পড়লাম। বেঁচে থাকার সব উপকরণ সঙ্গে না থাকলে খুব বিপদ হবে। কারণ, এবার অধিকাংশ সময়ই থাকতে হবে এমন এলাকায়, যেখানে মনুষ্যচিহ্ন হয়তো একেবারেই নেই।তথ্য পাওয়ার একমাত্র বিশ্বস্ত মাধ্যম জিপিএস। কেননা পথের পুরোটা পাহাড়িদেরও অচেনা।

এমন খরস্রোতা খাল পাড়ি দিতে হয়েছে একটু পরপর

প্রথম দিন আলীকদমের মাতামুহুরী খাল হয়ে দুস্রি বাজারে পৌঁছলাম ইঞ্জিনচালিত নৌকায়। কিছুদিন আগে আগুন লেগে পুরো বাজারটাই পুড়ে ছারখার। কোনোমতে একটা দোকান বেঁচে গেছে। ট্রেকিং শুরুর আগে সেখানে বসেই খানিকটা জিরিয়ে নিলাম।এদিন পরিশ্রম বলতে কিছুই ছিল না। তখন বেশ ক্লান্ত লাগলেও বাকি দিনগুলোর সঙ্গে এখন তুলনা করছি বলে এমন মনে হচ্ছে। জংলা পাহাড়ি পথে হাঁটতে হাঁটতে বেশ গহিনে ঢুকে গেছি ততক্ষণে। বিকেল গড়িয়ে আসতে এক ঝরনার পাশে ক্যাম্পিং করার বেশ ভালো একটা জায়গা দেখে সেদিনের মতো তাঁবু ফেলা হলো সেখানে। পাশেই এক আদিবাসী পাড়ায় চতুর্থবারের মতো অনুরোধ করে মুরগি পাওয়া গেল। বলে রাখা ভালো, তাদের কাছে মুরগির একটা ডিম আমাদের শহুরে মানুষদের বুফে খাওয়ার সমান!

পরদিন সকাল৬০-৭৫ ডিগ্রি খাড়া পাহাড় বাইতে শুরু করলাম। ট্রেক শুরুর প্রথম ২০-২৫ মিনিট সবারই বেশ হয়রান লাগে, এরপর শরীর সয়ে যায়। আর তা যদি হয় এমন দুর্গম পাহাড় দিয়ে, তাহলে তো বেশ পরীক্ষাই নিয়ে নেয়। বাড়তি হিসেবে পিঠে ১২-১৩ কেজি ওজনের ঝোলা।

ঘণ্টাখানেক এভাবে উঠছি। হঠাৎ এমন খাড়া রাস্তায় বিপজ্জনক একটা মোড়। পিঠের বোঝা নিয়ে তাল সামলাতে না পেরে উপুড় হয়ে পড়লাম একেবারে কিনারায়। মাটি খামচে ধরে প্রাণে বেঁচে গেলাম। চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে এক ত্রিপুরা পাড়ায় পৌঁছালাম। পরবর্তী গন্তব্য টোয়াইন খাল। ত্রিপুরা গাইডের নির্দেশনা, জিপিএসের ডিরেকশন আর সাদেক ভাই-তারিক ভাইয়ের অভিজ্ঞতা দিয়ে পথচলা শুরু এবার টোয়াইন খালে। খালে পৌঁছাতে যতটা পাহাড় উঠেছিলাম, ঠিক ততটাই নামতে হলো। হঠাৎ চিৎকার দিয়ে থেমে গেলেন সাদেক। ঘাড় ঘোরাতেই দেখলাম, সামনে দিয়ে বিশাল একটাকিং কোবরা চলে যাচ্ছে। আরও একবার বেঁচে গেলাম।

এভাবেই অজানা বিপদের আশঙ্কা বুকে নিয়েই খরস্রোতা খাল পেরিয়ে, পাহাড়ের চূড়া ডিঙিয়ে কিংবা বিশাল বিশাল বোল্ডারের ‘হার্ডল’ পার হয়ে পৌঁছে গেলাম টোয়াইন খাল। এবারের ক্যাম্পিংয়ের জায়গাটা ছিল অসাধারণ। একদিকে পাহাড়ি ঢল নামা টোয়াইন খাল, অন্যদিকে পাহাড়ের গায়ে মেঘ আর সূর্যের খেলা। খেলা শেষ না হতেই বৃষ্টির যেন কান্না পেল। বৃষ্টি আসছে দেখেই ৫ মিনিটের ভেতর তাঁবু তৈরি। বড় শেল্টারের নিচে বসে সবাই নির্বাক হয়ে বৃষ্টি দেখছি। মুগ্ধতার পালা শেষে দুশ্চিন্তা ভর করল।এই বৃষ্টির কারণে পথ চলা কতটা ঝামেলার হবে ভেবে।

পরদিন সকাল। সামনে পাহাড়ি ঢল নামা টোয়াইন খাল। স্বচ্ছ পানি এখন পাহাড় ধোয়া মাটিতে ঘোলাটে হয়ে আছে। নিচের পাথরগুলো দেখার উপায় নেই। এর ভেতর দিয়েই পাড়ি দিতে হবে এ পথ। ব্যাকপ্যাক পিঠে নিয়েই মনে মনে বললাম, ‘বিগ ডে’।

পাহাড়ি ঢল শেষে পুনরায় স্বচ্ছ টোয়াইন খাল

ক্যাম্পিং সাইট থেকে খালের ওপারে গিয়েই দেখা মিলল অচেনা জন্তুর সদ্য পায়ের ছাপ। তারেক ভাই বললেন, এ জিনিস ভাল্লুকের। ভাগ্যিস, একটু পরে রওনা দিয়েছিলাম। আরেকটু দূরে গিয়েই দেখা মিলল হরিণের চিহ্ন। আঁকাবাঁকা খালের এপার-ওপার হচ্ছিলাম আর গুনছিলাম কতবার খালের এপার-ওপার যাচ্ছি। খালের মারপ্যাঁচে একসময় ওই চিন্তাও বাদ দিলাম।

সবচেয়ে ভয়ানক অংশ ছিল প্রায় ৭০ ডিগ্রি খাড়া এক ‘বোল্ডার’ পাড়ি দেওয়া। এমন ঢালু বোল্ডারের ওপরের দিকে তৈরি হওয়া সামান্য খাঁজগুলোই আমাদের পা ফেলার জায়গা। ১২ কেজি ওজনের বোঝা পিঠে নিয়ে ওই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে দিনদুনিয়ার সবকিছু ভুলে মনোযোগ শুধু প্রতিটা স্টেপের দিকের ছিল। ভয় পাওয়ারও সুযোগ ছিল না। সামান্য ভুলের সর্বনিম্ন মাশুল ছিল কয়েকটুকরো হাত পা। আমি কোনোরকম উতরে গেলাম। কিন্তুআটকে গেলেন দলের লিডার তারিক ভাই। তার পিঠে যে ২০ কেজি ওজনের ব্যাগ। আরেকজন গিয়ে তার পায়ের নিচে নিজের হাত দিয়ে ব্যালান্স করে দিচ্ছিলেন। আমি দেখার সাহস পাইনি।

বিশাল বিশাল বোল্ডার বৃষ্টির কারণে ছিল ভয়ংকর পিচ্ছিল

এদিকে প্রচণ্ড ক্ষুধায় মাথা কাজ করছে না। ক্লান্তিতে শরীর অসাড় হয়ে যাচ্ছিল প্রায়। ঠিক তখনই দেবদূতের মতো হাজির এক জুমচাষি। পাক্কা দেড় দিন পর মানুষের দেখা পেলাম। থেকে ভুট্টা নিয়ে যাচ্ছে দেখে লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে তার কাছে চেয়ে বসলাম একটা।

এরপরের ঘটনা বেশ করুণ। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় জঙ্গলের ভেতর ক্যাম্পিং করতে বাধ্য হলাম। মধ্যরাতে বৃষ্টিতে তাঁবুর ওপর এবং নিচ দিয়ে পানি ঢুকে ঘুমানোর জায়গা সম্পূর্ণ ভিজে গেছে। গায়ের কাথাটাও নিচে দিয়ে দিলাম, একটু পর তাও ভিজে চুপচুপ। কিছু করার নেই, রাতে ঘুমুতেই হবে। না হলে পরের দিনে ঝামেলা হয়ে যাবে। সেই ভেজা চুপচুপে পানি জমে যাওয়া জায়গাতেই কিছু সময় ঘুমিয়ে নিলাম। শরীর যে ক্লান্ত।

জঙ্গলের ভেতর সেদিনকার ক্যাম্প সাইট

এরপর আবার যাত্রা শুরু বিপজ্জনক সেই পথ ধরে। কলাগাছের চারার মতো এক গাছের গোড়া ধরে ঝুলছি বলা যায়। পাশাপাশি দুই পা ফেলার জায়গা নেই। কোন পা আগে ফেললে ভারসাম্য হারিয়ে পাথরের চূড়া থেকে নিচে পড়ে যাব না, তাই বোঝার চেষ্টা করছি। এর ভেতর ধরে থাকা গাছটাও দেখি উঠে আসছে। এখন? বাঁ পা ফেলে হাত থেকে গাছ ছেড়ে দিয়ে মাটি খামচে ধরলাম। দিব্যি দেখলাম, মাটি আঁকড়ে ধরেও মাঝে মাঝে বিপদ থেকে বাঁচা যায়।

আগের দুইদিনে খুবই বিপজ্জনক দুটি জায়গা পার হয়ে এলেও এদিন মারাত্মক বিপদের একেবারে কাছ থেকে ফিরে এসেছি তিনবার। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ এক প্রকা- দানবের সামনে পড়লাম। ঝরনাটার বিশালতা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। দেখলেই যেন ভক্তি চলে আসে এর প্রতি। তিনটি ধাপে পানি ঝরছে। প্রায় ১০ মিনিট ধরে সাদেক ভাই ধ্যান করার মতো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে মুখস্থ করছিলেন, কোন দিকে দিয়ে উঠবেন আর কীভাবে নামবেন। আমাকে বলায় না করতে পারলাম না। ভাই যেখানে পা ফেলে উঠছেন, দেখে দেখে আমিও ঠিক সেখানটাতেই ফেলছি। শেষ ধাপের ঢাল শেষ হলে ওপরে সমান জায়গা। সাদেক ভাই গাছের গোড়া ধরে হ্যাঁচকা টানে উঠে গেলেন। কম অভিজ্ঞতা আর শরীরের ওজনের কারণে আমি বিশেষ সুবিধা করতে পারছি না। এদিকে গাছটাও উঠে আসছে। আর আমি শুধু ডান পায়ের সামান্য অংশ দিয়ে খাঁজে পা দিয়ে আছি। কোনো উপায় নেই। কিছু না পেয়ে নিরুপায় হয়ে ডাক দিলাম,‘সাদেক ভাই’! তিনি এক মুহূর্ত দেরি না করে প্যান্টের কোমর ধরে টান দিলেন আর আমি সামনের আরেকটা শিকড় ধরে উঠে গেলাম। বড় বাঁচা বেঁচে গেলাম। প্রথম ধাপের পরে যে বিশাল সমান জায়গা, তা কিছুটা গভীর হওয়ায় সুন্দর একটা সুইমিংপুলের মতো খুমের সৃষ্টি হয়েছে! স্বর্গীয় দৃশ্য একেবারে। বেশিক্ষণ অবশ্য সে সুখ সইল না। নেমে গেলাম কিছুক্ষণ বাদেই।

ঝিরির পানি দিয়ে দুধ-চিড়া দিয়ে এখানেই লাঞ্চ করলাম

এরপর এক জুম ঘরে গিয়ে যখন পৌঁছলাম, খুব আফসোস করলাম সবাই, কেন এখানে একটা রাত কাটাতে পারব না। কিন্তু কে জানত, পথ হারিয়ে আবার এখানেই ফিরে আসতে হবে এবং খুব করে চাওয়া এই জুম ঘরেই রাত কাটাতে হবে।

দুপুরের খাবারের পর রওনা দিলাম ঝিরি ধরে। প্রায় দেড় ঘণ্টা হাঁটার পরও পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। জিপিএস দিয়েও কিছু বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে অন্ধকার হয়ে যাবে একটু পরেই। সবচেয়ে অভিজ্ঞ সাদেক ভাইও পাগলের মতো মাথা নাড়িয়ে বলছে, জানি না। এরপর টিম লিডার তারিক ভাই যে সিদ্ধান্ত নিলেন, তা ছিল যুগান্তকারী। যা সাধারণত কখনোই করার কথা নয়, তাই করতে হলো। ফিরে এলাম। কারণ, এই পথে অন্ধকার হলে এবং যদি বৃষ্টির কারণে হুটহাট ভূমিধস হয়, তাহলে এর থেকে খারাপ কিছুই হতে পারে না। তাই সবাই বলতে গেলে দৌড়ে ফিরলাম। কোনো কিছু ভাবার সময় নেই। ৬-৭ বার আছাড় খেলাম পাথরের ওপর, ঝিরির মাঝখানে। একবার তো পড়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে উল্টোভাবে ঝুলেছিলাম। একবার নি-ক্যাপ পরা সত্ত্বেও পাথরে আছাড় খেয়ে হাঁটুছিলে গেল অনেকটা। কিন্তু দাঁড়িয়ে অনুশোচনা করার সময় নেই। উঠেই ব্যথা নিয়ে আবার দৌড়! ফিরে এলাম প্রায় অর্ধেক সময়ে। ততক্ষণে অন্ধকার হয়ে গেছে। বৃষ্টিও নামছে অঝোরে। সেযাত্রায় জীবন রক্ষা হলো। তারিক ভাইকেধন্যবাদ না জানিয়ে আর পারলাম না।

এর গাম্ভীর্য চর্মচক্ষে না দেখলে উপলব্ধি করা অসম্ভব

মনের ভেতর এক উত্তেজনা নিয়ে ঘুম ভাঙল পরদিন। যেভাবেই হোক, পথ ঠিকই করে নিতে হবে আজ। যাত্রা শুরু করলাম। আগেরদিনের করা কিছু ভুল শুধরে পথ চললাম এবার। আমাদের সব অজানা ভয়কে দূর করে দিয়ে হঠাৎ সামনে এসে পড়ল এক উঁচু পাহাড়, দিকনির্দেশনা অনুযায়ী যেখান দিয়েই ছিল আমাদের গন্তব্যের পথ। প্রত্যেকে ১০-১৫টা জোঁকের কামড় খেয়ে, শরীরের শক্তি পুরোটা শেষ করে এক ঘোর লাগা অনুভূতি নিয়ে বিশাল খাড়া ঢাল বেয়ে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় অবশেষে পৌঁছলাম মাইকোয়া পাড়ায়।

আমাদের মূল এক্সপিডিশন মূলত এখানেই শেষ। কারণ, খাওয়াদাওয়া, বিশ্রাম নিয়ে এক পাহাড়িসঙ্গী নিয়ে এরপর নির্ঝঞ্ঝাটভাবেই চলে এলাম আমাদের গন্তব্য আন্ধারমানিক।

ছবির মতো সুন্দর গ্রাম আন্ধারমানিক পাড়া বান্দরবান শুধু একটা জায়গা নয়, এক অনুভূতির নাম, যা শুধু উপলব্ধি করতে হয়। তাই সেখানে পরিবেশ নোংরা করা, আদিবাসীদের হেয় করা, বন্যপ্রাণি হত্যা করা এ ধরনের মানসিকতা নিয়ে না যাওয়াই ভালো। কারণ, প্রকৃতি যে অপার সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়েছে, তাকে কেবল শ্রদ্ধাই করা যায়।

ছবি- লেখক।

/এফএএন/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইনজুরিতে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচে খেলা হচ্ছে না মেসির  
ইনজুরিতে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচে খেলা হচ্ছে না মেসির  
এবার রাজশাহীর আম গাছে প্রচুর মুকুল, স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা
এবার রাজশাহীর আম গাছে প্রচুর মুকুল, স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ মার্চ, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ মার্চ, ২০২৪)
চীনে ৯ বছরে প্রথমবারের মতো বিয়ের সংখ্যা বেড়েছে
চীনে ৯ বছরে প্রথমবারের মতো বিয়ের সংখ্যা বেড়েছে
সর্বাধিক পঠিত
লিটনের বাদ পড়া নিয়ে যা বললেন হাথুরুসিংহে
লিটনের বাদ পড়া নিয়ে যা বললেন হাথুরুসিংহে
শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ
তৃতীয় ওয়ানডেশ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ
পদ্মার গ্রাহকরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন
একীভূত হলো দুই ব্যাংকপদ্মার গ্রাহকরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার