দুপাশে ঘন জঙ্গল আর মাঝখানে সবুজে ঘেরা শান্ত রাস্তা। সেই রাস্তার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে আছে অসীম রহস্য। ছবি মতোই সাজানো গোছানো রাস্তাটি ধরে এগিয়ে যেতে থাকলে একটু একটু করে ছড়িয়ে পড়তে থাকে মুগ্ধতা।
আনমনে হাঁটতে হাঁটতে সামনে তাকিয়ে হঠাৎই থমকে যেতে হয়। মনে হয় রাস্তার শেষ বুঝি ঠেকেছে আকাশে গিয়ে! বাংলাদেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন এই রাস্তা দেখতে চাইলে আপনাকে চলে যেতে হবে কাপ্তাই। কেবল কাপ্তাই-রাঙামাটি সড়কের সৌন্দর্যই নয়, স্বচ্ছ জলের কাপ্তাই লেকের রূপ ও যৌবনও আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিতভাবে।
অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে কাপ্তাই রিজার্ভ ফরেস্টে ঢুকতে পারেন প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নিরাপত্তা নিয়ে। নয়নাভিরাম ফুল দিয়ে ঘেরা ঝিরিপথে হেঁটে যেতে যেতে হাতির উপস্থিতির রোমাঞ্চ অনুভব করবেন প্রতি মুহূর্তে।
গরম জেঁকে বসলে কাপ্তাই লেকের ঠাণ্ডা পানিতে সাঁতরে নিতে পারেন দুদণ্ড। লেকের বুকে সূর্যাস্ত দেখতে চাইলে ট্রলার ভাড়া করে নিন ঘন্টা হিসেবে।
যদি চান পাহাড়ের ওপর থেকে কাপ্তাই হ্রদের জলে টুপ করে ডুবে যাওয়া সূর্য দেখতে, তবে একটি অটো ভাড়া করে চলে যান কাপ্তাই-রাঙামাটি সড়ক ধরে।
বেরাইন্না ব্রিজ পার হয়ে আসামবস্তি পর্যন্ত মুগ্ধতার পাশাপাশি আপনাকে ছুঁয়ে যাবে ছন্নছাড়া মেঘের দল। গোধূলির লালচে আলোয় দিগন্ত বিস্তৃত কাপ্তাই হ্রদ যেন পরিণত হয় ঝিলমিলিয়ে ওঠা এক সোনালি নদীতে। হ্রদের পানিতে তখন শেষবেলার আলো-আধারির খুনসুটি। প্রাণভরে উপভোগ করুন প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য।
জেনে নিন
- সাঁতার না জানলে পানিতে নামবেন না। লেক ভ্রমণের সময় অবশ্যই সঙ্গে লাইফজ্যাকেট রাখুন।
- বুনো হাতির আনাগোনা রয়েছে বন ও এর আশেপাশের এলাকাজুড়ে। তাই সন্ধ্যার পর ফরেস্টের সড়কে না থাকাই ভালো।
- কাপ্তাইয়ে থাকার জন্য ভালো হোটেল নেই। অনুমতি সাপেক্ষে প্রশাসনের রেস্টহাউজে থাকতে পারবেন। তবে এই অনুমতি নিতে হবে আগে থেকেই।
- কাপ্তাই জঙ্গলে অনুমতি ও নিরাপত্তা ছাড়া ঢুকবেন না।
- রাস্তা, লেক অথবা বনে প্লাস্টিক অথবা অপচনশীল কিছু ফেলে আসবেন না।
ছবি কৃতজ্ঞতা: ওয়াইল্ড অ্যাডভেঞ্চার
/এনএ/