আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের তোলা ছবি নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনও মসজিদ প্রাঙ্গণের বাইরের খোলা মাঠে হচ্ছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী। ‘অন্যকে আলিঙ্গন’ শিরোনামে এই প্রদর্শনীর আয়োজক দৃক পিকচার লাইব্রেরি।
স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের নকশায় নির্মিত ২০১৬ সালে ‘আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার’ পুরস্কারে ভূষিত ঢাকায় অবস্থিত বাইতুর রউফ মসজিদের তোলা আলোকচিত্র নিয়ে সেই মসজিদ প্রাঙ্গণেই হচ্ছে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য ইসলাম ধর্ম যে আতংক নয়, বরং উদারতা ও হৃদ্যতার প্রতীক সেই বার্তা সকলের মাঝে তুলে ধরা। আজ ৮ মে বাইতুর রউফ মসজিদ প্রাঙ্গণে শুরু হয় দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ‘অন্যকে আলিঙ্গন’ শিরোনামে এই প্রদর্শনী। ভবিষ্যতে এই প্রদর্শনী বিশ্বের বিভিন্ন গ্যালারিতেও প্রদর্শিত হবে।
আজ সকাল ১০টায় ‘অন্যকে আলিঙ্গন’ শিরোনামে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম, দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ‘অন্যকে আলিঙ্গন’ প্রদর্শনীর আলোকচিত্রী শহিদুল আলম এবং বাইতুর রউফ মসজিদের ইমাম জনাব দ্বীন ইসলাম বক্তব্য রাখেন। দ্বীন ইসলাম তার বক্তব্যে এই প্রদর্শনীর আয়োজকদের ধন্যবাদ জানায়। এরপর শহিদুল আলম তার বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে একটি স্বাধীন ধর্ম হিসাবে আখ্যায়িত করেন এবং সমকালীন সময়ে এই ধর্মকে ভুল বোঝা হচ্ছে বলেও আশংকা করেন। ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিম এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর প্রসঙ্গ ধরে বলেন, ‘ইসলাম সবসময় সৌন্দর্যের পক্ষে এবং আর্ট একটি সৌন্দর্য।’
শহিদুল আলম বলেন, ‘আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং আজকের দিনের মসজিদ প্রাঙ্গণগুলোতে এই উদারতা এবং মানুষের কাছে পৌঁছানোর এমন মানুষ এবং মানসিকতার বড় অভাব বলে আমার মনে হয়। আমার এই প্রদর্শনী নারী-পুরুষ, অমুসলিম, তথা আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য উন্মুক্ত। এ শর্তেই আমি এই মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রদর্শনী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বাংলাদেশে আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের আবাসিক কূটনীতিক প্রতিনিধি জনাব মুনির এম মুরালি, মাসিক অনন্যা ম্যাগাজিনের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, নারী অধিকার নেত্রী শিরীন হকসহ আরও অনেক দেশি এবং বিদেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শনীতে।
/এনএ/