X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১
৩ পেরিয়ে বাংলা ট্রিবিউন

আমার আকাশছোঁয়া বাড়ি

ফাতেমা আবেদীন
১৩ মে ২০১৭, ১৮:০০আপডেট : ১৩ মে ২০১৭, ১৮:০০
image

২০১১ সালের শুরুতে পেট্রো ডলারের চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে এসেছিলাম সাংবাদিকতা করব বলে। সবাই তখন পাশ থেকে সরে গিয়েছিলেন, স্কুল অব কনস্যুলেটের প্রভাষকের পদ ছেড়ে সাংবাদিকতা করাটা স্বজনরা মেনে নিতে পারেনি। গত ছয় বছর ধরে আমি সাংবাদিকতা করছি। আদতেই সাংবাদিক হতে পেরেছি কিনা, এই দায়বোধ আমাকে প্রতিনিয়তই তাড়িয়ে বেড়ায়।
আমার কাছে সাংবাদিকতার অর্থ একটা সময় পর্যন্ত ছিল ‘আমার ইচ্ছা পূরণ’, পরে হয়ে উঠেছে দায়িত্বশীলতা। তবে ছয় বছরের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় যতটুকু বুঝি, সাংবাদিকতা হচ্ছে  ‘কমন সেন্স’। যেটি নির্দিষ্ট মাপকাঠিতে মাপা সম্ভব নয়। আপনি বা আমি ডেস্ক, রিপোর্টিং, ফিচার কিংবা একটি সংবাদপত্রের সার্কুলেশন অথবা আইটি সেকশন, যেখানেই কাজ করি না কেন, একটি পরিমিতি বোধ ও সার্বিক কমন সেন্সের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার মাধ্যমেই আমার সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। 

ফাতেমা আবেদীন
কমন সেন্স নামক অভিজ্ঞানই আমাকে সংবাদ ও অপসংবাদের পার্থক্য চিনিয়ে দেবে। আমার রগরগে সংবাদ শিরোনামকেও পরিশীলিত করবে এই মার্জিত রুচি। ছয় বছরের ক্যারিয়ার খুবই স্বল্প বলব আমি। পদে পদে শিখছি, সিনিয়র, জুনিয়র সবার থেকেই শেখার আছে। ব্যক্তিগতভাবে ওঁৎ পেতে থাকি কী করে শিখতে পারব। হয়তো সময়ের কারণে বেশ কিছু গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয়েছে কিন্তু সেখানেও আমি শেখার চেষ্টা করেছি। একেকটি অভিজ্ঞতাই আমাকে ধীরে ধীরে সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তুলছে।

আমার আনুষ্ঠানিক সাংবাদিকতা আন্তর্জাতিক ডেস্কে অনুবাদের মাধ্যমে হলেও বাংলা ট্রিবিউনে এসে বদলেছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি, যুদ্ধবিগ্রহের গণ্ডি পেরিয়ে ফিচারেও পদার্পণ হয়েছে এখানে এসে। লাইফস্টাইল, তারুণ্য, ক্যাম্পাসে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। ফ্যাশন সম্পর্কে কোনও জ্ঞান না থাকলেও এই খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ ঘটেছে, যেটি আমার জন্য বাড়তি পাওনা। একইসঙ্গে ক্যাম্পাস আর তারুণ্য পাতা আমাকে সবসময়ের জন্য তরুণদের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে।
এখানে এসে সাংবাদিকতার বাইরে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে ঢাকা লিট ফেস্ট তথা দেশের শীর্ষ সাহিত্য সম্মেলনে। এখানে একাধারে আয়োজক ও সাংবাদিক হিসেবে সংবাদ প্রকাশের সুযোগটি ঘটেছে। যোগাযোগ হয়েছে বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা সাংবাদিকের সঙ্গে। ভারতীয় সাংবাদিক সলিল ত্রিপাঠির একটি কথা কানে বাজে, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে’। এই কাজটুকু দেশের জন্য, মানুষের জন্য। বলা যায় এটি অনুপ্রেরণা। এনডিটিভির সাংবাদিক বারখা দত্ত বলেছিলেন, ‘বুঝেছ নারীদের জন্য কাজ করতেই সাংবাদিকতায় এসেছি’। মোটকথা মানুষের জন্য করার সুযোগটা এখানে মারাত্মক। যেটি অন্যান্য সেবামূলক পেশার সঙ্গে তুলনীয়।
‘সাংবাদিকতা’ শব্দটি শুধুই ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অনেক দায়িত্ব রয়েছে। সবগুলো দায়িত্ব পালনের যোগ্য হয়ে উঠতে না পারার ক্ষত যেমন আহত করে, তেমনি ভবিষ্যতে কিছু করবই, এমন প্রত্যয় আশা জাগায়। দিন শেষে ‘সাংবাদিকতা’ শব্দটি শুধু পেশা নয়, আমার অনেক স্বপ্নের ‘আকাশছোঁয়া বাড়ি’ হয়ে আমার সঙ্গে বসবাস করে।

লেখক: ইনচার্জ; লাইফস্টাইল, তারুণ্য ও ক্যাম্পাস

/এনএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী