সংযম ও সিয়াম সাধনার মাসে রোজাদারদের ভোগে তৃপ্তি মিটাতে ইরানি জিলাপি যেন এক জাদুর পরশ। ২০ বৎসর যাবত এই ইরানি জিলাপি কুমিল্লার ক্রেতাদের মন কেড়ে নিয়েছে। ব্যাপক চাহিদা ও ব্যতিক্রমী এই জিলাপির তৈরি হয়ে আসছে কুমিল্লা জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী আসিফ আকবরের বাঙলা রেস্তোরায়। সুস্বাদু এই ইরানি জিলাপির কারিগর ৪৫ বৎসর বয়সি সুমন ঘোষ। তিনি ২০ বৎসর ধরে এই জিলাপি তৈরি করে আসছেন। কুমিল্লার রোজাদারদের রসনার তৃপ্তি মেটাতে বিশেষ এ জিলাপি তৈরিতে সুমন ঘোষ ২০০৫ সালে থেকে বাংলা রেস্তোরায় কাজ করছেন।
কুমিল্লার এই জিলাপি চাহিদা ও জনপ্রিয়তা দিন দিন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ইরানী জিলাপি ক্রয়ে প্রতিদিন রোজদারদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বহু দূর থেকে ব্যতিক্রমী এই জিলাপি ক্রয়ে ছুটে আসেন বাংলা রেস্তোরায়। জিলাপিটি সু-স্বাদু হওয়ায় রোজদাররা ইফতারির সাথে আইটেম হিসেবে রাখেন। প্রতি কেজি ইরানী জিলাপি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেখতে বেশ লম্বা ও চিকন এই জিলাপি।
কারিগর সুমন ঘোষ জানায়, ২০ বৎসর আগে তার জন্মস্থান কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাকার নগর বাজারে এই ইরানি জিলাপি তৈরি শুরু করেন। দোকানের নাম দিয়ে ছিলেন মিষ্টিমুখ। তার এই জিলাপির চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বর্তমানে সারা কুমিল্লায় ছড়িয়ে পড়েছে।
এই জিলাপি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, ময়দা, চিনি, তেল, ডালডা, ঘি, মাল্টার রস, জাফরান ফুলের পাপড়ি, চিনির গুঁড়া, চালের গুঁড়া, কাটান চাল, মাশ কালাইয়ের গুঁড়া, বেসন, মালটোভাসহ ২০ রকমের পণ্য।
ক্রেতা আবুল বাশার রানা জানান, ইরানি জিলাপির স্বাদ যেন মুখে লেগে থাকে। চাহিদা ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুমিল্লা ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকা সু-স্বাদু এই ইরানি জিলাপি প্রতি রমজানে প্রতিদিনের ইফতারিতে জন্য ক্রয় করি।
জিলাপি বিকিকিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিপ্লব ভৌমিক জানান, এই ইরানি জিলাপি আমরা ১০ বৎসর যাবত বিক্রি করে আসছি। প্রতি কেজি জিলাপি ৪০০টাকা। সু-স্বাদু এই জিলাপির স্বাদ, চাহিদা ও জনপ্রিয়তা কুমিল্লার ঐতিহ্যের সাথে মিশে আসছে দিন দিন। ২০০৫ সাল থেকে ক্রমে চাহিদা বেড়ে আসছে। বিকিকিনিও ভালো হচ্ছে।
/এফএএন/