বিশাল দুটি গাছের শেকড় জড়াজড়ি করে আছে ঝিরির উপরে। একটু একটু করে বেড়ে প্রাকৃতিক সেতু তৈরি করেছে গাছ দুটি। সেই সেতুর উপর দিয়ে অনায়াসে পার হয়ে যেতে পারবেন। ঝিরির পাশে থাকা বিশাল পাথরের উপর বসে গাছের সঙ্গে গাছের শেকড় দিয়ে তৈরি অভূতপূর্ব এই সেতু দেখতে দেখতে কাটিয়ে দিতে পারবেন চমৎকার বিকেল।
প্রাকৃতিক এই সেতুর দেখা পেতে আপনাকে মেঘালয়ের শিলং যেতে হবে। ‘লিভিং রুট ব্রিজ’ নামে পরিচিত সেতুটি দেখার জন্য ছবির মত সাজানো গোছানো ‘রিওয়াই’ গ্রামের রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতে হবে। গ্রামের পাহাড়ি নদী ‘থাইলং’ এর উপরে শেকড় তৈরি সাঁকোটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমান অসংখ্য পর্যটক।
শিলং থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে রিওয়াই গ্রাম। গ্রামের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে রাস্তা ধরে হাঁটলেই পেয়ে যাবেন সাইনবোর্ডে লেখা নির্দেশনা। সেই অনুযায়ী হেঁটে যেতে যেতে পাহাড়ি সিঁড়ি খুঁজে পাবেন। সেই সিঁড়ি ধরে বেশ কিছু দূর নামার পরই চোখ আঁটকে যাবে আশ্চর্য এই সেতুতে।
ছোটবড় শেকড় সুতার মতো নিপুণ বুননে তৈরি করেছে চওড়া সেতু। প্রায় ৫০০ বছর বয়স এই প্রাকৃতিক সেতুর। প্রতিনিয়ত বাড়ছে জ্যান্ত এই শেকড়। একারণেই ব্রিজের নাম ‘লিভিং রুট ব্রিজ।’
৫০ মিটার লম্বা এই সেতু একসঙ্গে ৫০০ জন মানুষকে জায়গা দিতে পারবে! তবে ব্রিজে উপর দাঁড়াতে দেওয়া হয় না এটি যথাযথ সংরক্ষণের খাতিরে। সেতুর নিচ দিয়ে কুলকুল শব্দে বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী। ব্রিজের উপর দাঁড়াতে না পারলেও নদীর পাড়ে বসে কিংবা পাহাড়ের উপর থেকে এর সৌন্দর্য দেখতে পারবেন ইচ্ছেমত।
যেভাবে যাবেন
শিলং যেতে চাইলে ডাউকি দিয়ে ভিসা করিয়ে নিন। ডাউকি থেকে শিলং যেতে সময় লাগে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। যাওয়ার পথে দেখে যেতে পারেন সেতু। আবার ফেরার সময়ও দেখে নিতে পারেন। মেঘালয়ের পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি।
/এনএ/
