এই যান্ত্রিক শহরের ব্যস্ততা আর কোলাহল থেকে প্রায়ই পালাতে মন চায়। ছুটির দিনগুলোতে শহর ছেড়ে যাওয়ার জন্য হা-পিত্যেশ করেন প্রায় সবাই। খুব বেশি দূর হয়তো যাওয়া সম্ভব হয় না, তাই শহর থেকে একটু দূরে পূর্বাচল থেকে ঘুরে আসুন।
যেকোনও একদিন সময় করে ঘুরে আসুন পূর্বাচল বাজারে। টাটকা শাক সবজি, মাছের বাজারও যে মন ভালো করে দিতে পারে পূর্বাচলে এলেই বুঝতে পারবেন। কাছেই ইছাপুরা নদী। নদীতে নৌকা ভাড়া করে ঘুরে বেড়াতে পারেন দীর্ঘসময়। ঘণ্টায় ২০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়ায় চলে এসব দোকান।
দুপুরে খাওয়ার সময় ঢুকে যাবেন বাজারের যেকোনও একটি দোকানে। সব দোকানে নানা রকমে মাছ, ভর্তা , মাংস, সবজি, শুটকিসহ নানা দেশি খাবার। আপনি চাইলে সমুদ্রের ধারের দোকানগুলোর মতো মাছ ভাজাও খেতে পারেন। হরেক রকমের মাছের গায়ে মশলা মাখানো আছে। পছন্দ করলেই ভেজে দেবেন দোকানি।
খাবার শেষ করে মিষ্টির দোকানে ঢু মারতে ভুলবেন না। রসগোল্লা, চমচম, সন্দেশ, কালোজাম, লাড্ডু, বাতাসা, জিলাপি, রসমালাই, পানতোয়া, বালিশ মিষ্টি কী নেই এখানে। পছন্দের মিষ্টিটি ডেজার্ট হিসেবে বেছে নিয়ে পানীয় হিসেবে খাবেন লাচ্ছি, মাঠা কিংবা ডাবের পানি। ভরপেট খেয়ে ইচ্ছামতো টাটকা সবজি বাজার করেই বাড়ি ফিরুন।
যেভাবে যাবেন: রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ৩০০ ফিট এর রাস্তা ধরে সোজা চলে যাবেন বালুর ব্রিজ হয়ে পূর্বাচল। আর যদি বাস বা সিএনজি তে যেতে চান তবে প্রথমে আসতে পারেন ৩০০ফিট পর্যন্ত। আর ৩০০ ফিট থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাতে যেতে পারবেন পূর্বাচল পর্যন্ত। জনপ্রতি অটোরিক্সার ভাড়া নিবে ২৫-৩০ টাকা আর যদি সম্পূর্ণ অটোরিক্সা ভাড়া নিতে চাইলে সেক্ষেত্রে ভাড়া দিতে হবে ১২০-১৫০ টাকা।