স্মার্টফোনের ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল থাকে। স্মার্টফোনটি কীভাবে ব্যবহার করছেনসেটার উপর নির্ভর করে কতদিন ব্যাটারি টিকে থাকবে। স্মার্টফোনটি কিভাবে চার্জ করছেনসেটাও ব্যাটারির দীর্ঘায়ু তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন সস্তা চার্জার ব্যবহার করে চার্জ দিলে তা আপনার স্মার্টফোন ও এর ব্যাটারির জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
স্মার্টফোন চার্জ দেওয়ার সময় কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি-
সবসময় আপনার স্মার্টফোনের নিজস্ব চার্জারটি ব্যবহার করুন। কারণ অন্য চার্জার দিয়ে চার্জ দিলে ব্যাটারির কার্যকারিতা কমে যায়। এতেব্যাটারির আয়ুও কমতে থাকে। বিকল্প চার্জার ব্যবহার যদি করতেই হয় তবে খেয়াল রাখবেন যেন বিকল্প চার্জারের সাথে আসল চার্জারের আউটপুট ভোল্টেজ মিলে যায়। এছাড়া সেটি ফোন নির্মাতা কোম্পানির অনুমোদনপ্রাপ্ত হওয়াও জরুরি।
অপরিচিত নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সস্তা চার্জার বর্জন করুন। কারণ এগুলো ফ্লাকচুয়েশন বা অতিরিক্ত চার্জ ঠেকাতে নিরাপদ না। অ্যাডাপটার সমস্যা হলে স্মার্টফোন বা ব্যাটারির স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।
- স্মার্টফোনে চার্জ দেয়ার সময় ফোনে থাকা প্রতিরোধক কেইস খুলে রাখাই ভালো। চার্জ দেওয়ার সময় ব্যাটারি স্বাভাবিকভাবেই একটু গরম হয়। ডিসপ্লের ক্ষতি এড়াতে সম্ভব হলে চার্জ দেওয়ার সময় ফোনটি উল্টে একটা নরম কাপড়ের উপর রাখুন।
সব সময় দ্রুত চার্জ করা চার্জার ব্যবহার করা ঠিক নয়,এতে ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। কারণ এতে অল্প সময়ে বেশি ভোল্টেজ পেয়ে ব্যাটারি হঠাৎ অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠতে পারে। যদি দেখেন স্মার্টফোনটি অস্বাভাবিক গরম হয়ে উঠেছে,দ্রুত কিছুক্ষণের জন্য ফোনটি অফ করে রাখুন।
- সব সময় পারলে কমপক্ষে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করুন। এতে ব্যাটারি ভালো থাকে।
- ফোনের চার্জ যখন ২০ শতাংশ বা এর আশেপাশে থাকে,তখন তাতে আবার চার্জ করুন। অপ্রয়োজনে ঘন ঘন চার্জ করলে ব্যাটারির আয়ু কমে যেতে পারে। আবার এটাও খেয়াল রাখতে হবে যেন সবসময়ই ফোন একেবারে চার্জহীন হয়ে না যায়।
- ফোনের চার্জ ব্যাকআপের জন্য পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে নিশ্চিত হোন যেন সেটি ভোল্টেজ ওঠা নামা,শর্ট সার্কিট,অতিরিক্ত কারেন্ট বা অতি চার্জ প্রতিরোধ করতে পারে।
পাওয়ার ব্যাংকে সংযোগ থাকা অবস্থায় স্মার্টফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে অতিরিক্ত উত্তাপ তৈরি হয়ে ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া