X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঘেটুপুত্র কমলার জমিদার বাড়ি থেকে

নাবীল অনুসূর্য
২৮ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৩৫আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৫১

হরিপুর জমিদারবাড়িটি বৃটিশ বাংলো বাড়ি স্থাপত্যের নিদর্শন আক্ষরিক অর্থেই সাতসকালে গাড়িতে উঠতে হলো। ম্যাডামের কড়া নির্দেশ ছিল, গাড়িতে সাতটার মধ্যে উঠতেই হবে। কারো জন্য গাড়ি এক মিনিটও দেরি করবে না। অগত্যা সকালের আয়েশের ঘুম ত্যাগ করে, সাতটার মধ্যেই গাড়িতে চড়ে বসতে হলো। গন্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার হরিণবেড়ে, তিতাস নদীর পাড় ঘেঁষে অবস্থিত আড়াই শ বছরের পুরনো হরিপুর জমিদার বাড়ি।

যাত্রাটা অবশ্য প্রমোদভ্রমণ নয়। রীতিমতো পড়াশুনার উদ্দেশ্যে যাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব জাপানিজ স্টাডিজে মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের একটা কোর্স স্কাল্পচারাল আর্ট এন্ড আর্কিটেকচার অব জাপান এন্ড বাংলাদেশ। এই কোর্সের অংশ হিসেবে, বাংলাদেশের বৃটিশ আমলের স্থাপত্যের নিদর্শন এই হরিপুর জমিদারবাড়িতে যাচ্ছি। এমনিতেই দেশে আর্ট-কালচারের দাম কম, তাই এই কোর্সে শিক্ষার্থীও কম। তার উপর চিকনগুনিয়ার ভরা মৌসুম। কাটাকুটি করে কোর্স শিক্ষক ড. দিলরুবা শারমিনের নেতৃত্বে আমরা শিক্ষার্থী যাচ্ছি মোটে ৬ জন। সাথে আলোকচিত্রী কোটায় এক বন্ধু।

যেতে যেতে মাইক্রোর মধ্যেই ছোটখাট একটা ক্লাশ হয়ে গেল। বাংলার স্থাপত্যবিদ্যার ওপরে। বাংলার স্থাপত্যবিদ্যার প্রথম নিদর্শন হলো পাল যুগের বৌদ্ধবিহারগুলো। পরে মধ্যযুগে একদিকে মসজিদগুলো নির্মিত হতে লাগল মুসলিম স্থাপত্যের প্রভাবে। সেগুলোতে বিশেষ করে ছিল মোগল প্রভাব। অন্যদিকে হিন্দু স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে নির্মিত হতে লাগল মন্দিরগুলো, যেগুলোতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল টেরাকোটার কাজ। আর বৃটিশ উপনিবেশ আমলে প্রচলন হলো বাংলো বাড়ির। এই বাংলো বাড়ির আদলটা এসেছে মূলত এই অঞ্চলের বাড়িগুলোর আদল থেকেই। বৃটিশরা বাংলার বাড়িগুলোর আদল গ্রহণ করে, তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবন, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সাময়িক অবস্থানের জন্য বাড়ি, হিমালয়ের কাছাকাছি গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনের বাড়িগুলো বানাতে শুরু করে। আর এখন তো এই বাংলো বাড়ি সারা পৃথিবীতেই বেশ জনপ্রিয়। জমিদারবাড়ির পশ্চিমের প্রবেশপথের সামনে দাঁড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ

হরিপুর জমিদার বাড়িটিও এই বাংলো বাড়ি স্থাপত্যেরই নিদর্শন। তবে যেহেতু হিন্দু জমিদার বাড়ি, তাতে হিন্দু স্থাপত্যের নানা প্রভাব তো আছেই- মন্দির, তুলসীতলা, কুলুঙ্গি ইত্যাদি। আর পিলারে-আর্চে প্রভাব আছে মুসলিম স্থাপত্যেরও। এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণের একটা গল্পও আছে। হরিপুরের এই জমিদার পরিবারের গোড়াপত্তন করেন গৌবর্ধন নামের এক লোক। তিনি অবশ্য খুবই গরিব ছিলেন। থাকতেন এই জমিদারবাড়িরই পূর্ব দিকে, এক জরাজীর্ণ কুটিরে। জমিদারবাড়ির জায়গাটা তখন ছিল চাষের জমি। একদিন হঠাৎই গৌবর্ধন বেশ কিছু গুপ্তধন পেয়ে যান। তাই দিয়ে চুনের ব্যবসা করে তিনি বিশাল সম্পত্তির মালিক বনে গেলেন। কিন্তু তার কোনো সন্তান ছিল না। তাই তিনি দুজনকে পোষ্যপুত্র বানালেন- কৃষ্ণমোহন ও গোপীমোহন। ওরা আবার সম্পর্কে ছিল চাচা-ভাতিজা। পরে তাদেরই প্রচেষ্টায় ত্রিপুরার রাজা কমলারঞ্জন রায় চৌধুরীর কাছ থেকে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও চান্দুরার জমিদারি লাভ করেন। জমিদার হওয়ার পর তারা তাদের নামও বদলে নিলেন। গৌবর্ধন হলেন গৌর প্রসাদ রায় চৌধুরী। আর তার দুই ছেলের নাম হলো কৃষ্ণমোহন রায় চৌধুরী ও গোপীমোহন রায় চৌধুরী। জমিদারি লাভ করার পরে তারা এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। বাইরের উত্তরের অংশের দোতলার জলসাঘর ও তার পাশের দুটো ছোট কামরা বাইরের উত্তরের অংশের নিচতলার ও অন্দরমহলের ঘরগুলোর দেয়ালের কারুকাজ

পৌঁছাতে ঘণ্টা দুয়েক দেরি হয়ে গেল। আমরা ভেবেছিলাম এগারটার মধ্যে পৌঁছে যাব, কিন্তু বেজে গেল একটা। তাই পৌঁছেই কোমর বেঁধে কাজে নেমে পরতে হলো। কাজও কম নয়। সে জন্য আমরা ৬ জন তিন দলে ভাগ হয়ে গেলাম। প্রতি দলে ২ জন করে। একটা দল মাপজোখ করবে, একটা দল গোনাগুনতি করবে, আরেকটা দলের কাজ বাড়িটার নকশা আঁকা। পরের দুই দলের অবশ্য আরেকটা কাজও আছে, বাড়িটার নির্মাণশৈলীর-নকশার বিভিন্ন খুঁটিনাটির বিচার-বিশ্লেষণ করা। ফটোগ্রাফারকে বুঝিয়ে দেয়া হলো, কীসের কীসের ছবি কীভাবে কীভাবে তুলতে হবে। পশ্চিম পাশের ছাদে নদীর হাওয়া খেতে খেতে পাশা খেলাসহ যাবতীয় বিনোদনের বন্দোবস্ত ছিল জমিদার বাড়িটির পিলারে-আর্চে প্রভাব আছে মুসলিম স্থাপত্যের
র জমিদার বাড়ি একেবারেই তিতাসের পাড় ঘেঁষে নির্মিত। দক্ষিণ মুখী বাড়িটার দুইটা প্রবেশপথ- একটি পশ্চিমে, আরেকটি দক্ষিণে। পশ্চিমের প্রবেশ পথ ছুঁয়ে এখনো নদী বয়ে যাচ্ছে। সে দিকে একটা বড়সড় ঘাটও আছে। আগে দক্ষিণের প্রবেশপথটা ছুঁয়েও নাকি নদী বয়ে যেত। এখন অবশ্য খানিকটা সরে গেছে। পশ্চিম পাশের দুই প্রান্তে দুটো মিনারাকৃতির মঠ। এই দুই মঠের একটি এই বংশের শেষ জমিদার হরিপদ রায় চৌধুরীর স্মরণে, অন্যটি তার স্ত্রী উমা রাণী রায় চৌধুরীর স্মরণে নির্মিত। হরিপদ রায় চৌধুরী বেঁচে থাকতেই অবশ্য বাংলায় জমিদারি প্রথার বিলোপ হয়। শেষ জীবনটা তিনি কাটিয়েছিলেন কলকাতায়। সম্ভবত তার নামেই এই অঞ্চলের নাম হয়েছে হরিপুর।

বাড়িটাতে ঢুকলে মাঝে একটা উঠানের মতো জায়গা, সেটাকে ঘিরে চারপাশে স্থাপনা। পশ্চিমে ও দক্ষিণে সাধারণ কতগুলো ঘর। পূর্ব পাশে মন্দির। মন্দিরটার বাইরের দিকে প্রতিটা আর্চের উপরে কারুকাজ করা রিলিফ। তাতে কয়েকটা ফিগারও আছে। মাঝের আর্চের উপরের ফিগার দুটো দেখে ভারতীয় পুরাণের নয়, বরং গ্রিক পুরাণের চরিত্র বলেই মনে হয়। ভেতরের দিকের প্রতিটা আর্চের উপরের রিলিফের কাজগুলো আরো বিস্তারিত। সেগুলো সম্ভবত কোনো কাহিনির বিবরণ। এছাড়াও মন্দিরের পিলারে, কার্নিশের নিচেও কারুকাজ করা। এই মন্দিরে নাকি আগে কয়েকটি স্বর্ণখচিত দেবীপ্রতিমা ছিল।

উত্তরের অংশটা দোতলা। নিচতলার ঘরটা অন্য দুই পাশের ঘরগুলোর তুলনায় অনেকটাই আলাদা। এই ঘরের ছাদ ও দেয়ালের নকশা ঘরটির আভিজাত্যের কথা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। আর এই অংশের দোতলাতেই ছিল এই জমিদার বাড়ির জলসাঘর। জলসাঘরের পাশে দুটো ছোট কামরাও আছে। জলসাঘরের পিছনেই বাড়ির অন্দরমহল। মাঝে উঠানের মতো খালি অংশ ঘিরে একদিকে জলসাঘর বাদ দিয়ে, বাকি তিন দিকে দোতলা অন্দরমহল। অন্দরমহলের ঘরগুলোর ছাদ ও দেয়ালেও জলসাঘরের নিচের ঘরের মতো নকশা করা। এই অন্দরমহলের পিছে একটি পুকুর আছে। জমিদার বাড়ির মেয়েদের ব্যবহারের জন্য। এই পুকুর আগে মহালপুকুর নামে পরিচিত ছিল। পুকুরের চারপাশে প্রাচিরও দেয়া ছিল। অন্দরমহলের পিছে এই পুকুরের সাথে লাগোয়া একটা ঘাট এখনও আছে।

অন্দরমহলের পশ্চিমপাশে একটি একতলা স্থাপনা আছে। পরে পুবপাশেও একটি একতলা স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। দুই পাশে দুটো তুলসি তলা। ‍দুটোর নকশা অবশ্য দুরকম। পুব পাশের তুলসি তলা আবার সেই আমলের ছোট ছোট রংবেরঙের টাইলস দিয়ে বাঁধানো। পশ্চিমপাশের একতলা স্থাপনাটির ছাদে যাওয়ার একটা সিঁড়িও আছে। সেই ছাদে গিয়ে বসলে সামনে বিস্তৃত তিতাস নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এই ছাদের একটা অংশও সেই আমলের ছোট ছোট রংবেরঙের টাইলস দিয়ে বাঁধানো। তাতে পাশা খেলার ঘরও আঁকা আছে। এই অংশে আসার জন্য আগে দোতলায় একটা দরজাও ছিল। সম্ভবত এখানে বসে নদীর হাওয়া খেতে খেতে পাশা খেলাসহ যাবতীয় বিনোদনের বন্দোবস্ত ছিল। অন্যপাশেও আছে এমনি বন্দোবস্ত। তবে সেটা তিতাস-মুখী নয়।

সব মিলিয়ে এই হরিপুর জমিদার বাড়িটা যাকে বলে উনিশ শতকের বাংলো বাড়ির এক চমৎকার নিদর্শন। বাড়িটির স্থাপত্যশৈলী, নকশা ও কারুকাজ রীতিমতো মনোমুগ্ধকর। বাড়িটির নান্দনিকতায় মুগ্ধ হতে হবে নিতান্ত বেরসিককেও। সে কারণেই বাড়িটিতে এ পর্যন্ত বেশ কিছু চলচ্চিত্র ও টিভি-নাটকের শুটিংও করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ চলচ্চিত্রটিই সম্ভবত সবচেয়ে বিখ্যাত। ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে অস্কারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত শেষ চলচ্চিত্র ঘেটুপুত্র কমলা। চলচ্চিত্রটিতে যে জমিদার বাড়ি দেখানো হয়, সেটিই এই হরিপুর জমিদার বাড়ি।

অবশ্য নান্দনিক এই জমিদার বাড়িটির ভাগ্যও আমাদের দেশের অন্যান্য স্থাপত্য নিদর্শনের চেয়ে ব্যতিক্রম নয়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব প্রকট। পুরো বাড়ি জুড়ে বাস করছে অনেকগুলো পরিবার। মজার বিষয় হলো, এই একই বাড়ির মধ্যে সহাবস্থান করছে হিন্দু-মুসলমান দুই ধর্মেরই মানুষ। তুলসীতলাতেও যেমন প্রতিদিন সকালে ফুল দেয়া হচ্ছে, তেমনি দিনের মধ্যে পাঁচবার আজান দিয়ে নামাজও পরা হচ্ছে। কেবল জলসাঘরেই কেউ থাকে না। এছাড়া প্রতিটি ঘরেই আছে পরিবারের বাস। এমনকি বড় ঘরগুলোর মধ্যে দেয়াল তুলে সেগুলোকে কয়েকটি ঘরেও ভাগ করা হয়েছে। অথচ এই জমিদারবাড়িটা প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত নিদর্শন।

সেই তালিকাভুক্তির ব্যাপারে অধিদপ্তরের চেয়ে অধিক তৎপর ভূমিকা পালন করেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাংস্কৃতিক কর্মী ও গবেষক রিফাত আমিন। তিনি কেবল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে বাড়িটির নাম অধিদপ্তরের তালিকাতেই তোলেননি, এই জমিদারবাড়ির ইতিহাস অনুসন্ধান করে বের করার কৃতিত্বও তারই। অধিদপ্তর অবশ্য তাদের দায়িত্ব পালন করেছিল স্রেফ একটা সাইনবোর্ড বসানোর মধ্য দিয়েই। এখন আবার সেই সাইনবোর্ডটিও গায়েব হয়ে গেছে।

সাইনবোর্ড গায়েব হয় হোক, জমিদার বাড়িটা তো অন্তত অটুট আছে। শুধু তাই নয়, এখনো নদীতীরের এই জমিদার বাড়ি ছুঁয়ে বয়ে যাচ্ছে তিতাস। বাংলাদেশে এমন জমিদার বাড়ি খুব কমই টিকে আছে, নদীর জল এখনো যার ঘাট ‍ছুঁয়ে যায়। আর যেহেতু এখনো টিকে আছে, বাড়িটাকে টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ নেওয়াটাও তাই ভীষণ জরুরি। ঠিকঠাক মতো সংরক্ষণ করা গেলে এই জমিদারবাড়িটা কেবল আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রই হয়ে উঠবে না, ব্রিটিশ বাংলার স্থাপত্য ও ইতিহাস চর্চার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রও হয়ে উঠতে পারবে। শুধু ব্রিটিশ বাংলার স্থাপত্যই নয়, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এই জমিদার বাড়িটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। মানে স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জমিদার বাড়িটির বিশেষ গুরুত্ব আছে।

ছবি: তুষার শাহিদুর রহমান। জলসাঘরের পিছনে মাঝে উঠানের মতো খালি অংশ ঘিরে তিন দিকে দোতলা অন্দরমহল

এফএএন
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
কুড়িয়ে পাওয়া সাড়ে চার লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেন ইজিবাইকচালক
কুড়িয়ে পাওয়া সাড়ে চার লাখ টাকা ফিরিয়ে দিলেন ইজিবাইকচালক
সরকার ক্ষমতায় থাকতে ভোটের ওপর নির্ভর করে না: সাকি
সরকার ক্ষমতায় থাকতে ভোটের ওপর নির্ভর করে না: সাকি
ঢাকার পর্দায় আবার গডজিলা-কিং কং দ্বৈরথ
ঢাকার পর্দায় আবার গডজিলা-কিং কং দ্বৈরথ
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে