শরতের কড়া রোদ্দুর। তার উপরে নাগরিক কোলাহল। নীল রং মাখানো আকাশে নিচে বসে বসে গরম ও জ্যামে যখন ত্যক্ত বিরক্ত অবস্থা, ঠিক তখনই হঠাৎ এক পশলা বাতাসে উড়ে এলো শুভ্র কাশফুলের রেণু! ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই চোখ জুড়িয়ে গেল মাইলের পর মাইল জুড়ে থাকা কাশবনের স্নিগ্ধতায়।
আশ্বিন মাস এখন। শরতের কাশফুল পূর্ণ যৌবনে ঝলমল করছে। নদীর তীরে, পরিত্যক্ত জমিতে এখন আবাস শতশত কাশফুলের। নাগরিক ব্যস্ততার ফাঁকে একটু সময় বের করে ঢাকা ও এর আশেপাশে কাশবনগুলো থেকে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন। অভ্যস্ত জীবনের একঘেয়েমি থেকে দুদণ্ড অবসর যেমন পাবেন, তেমনি কাশফুলের স্নিগ্ধতা খানিকটা প্রশান্তি দিয়ে যাবে দৈনন্দিন অস্থিরতার ফাঁকে।
ঢাকার মধ্যে কাশবন দেখতে চাইলে চলে যেতে পারেন আফতারনগর অথবা উত্তরার দিয়াবাড়িতে। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে বছিলা সড়কে চলে যেতে পারেন। অসংখ্য কাশফুল রয়েছে সেখানে। দক্ষিণখান, মিরপুর বেড়িবাঁধের দিকেও রয়েছে কাশফুলের ছড়াছড়ি। ঢাকার একটু আশেপাশে গেলে আরও বিস্তীর্ণ কাশবনের দেখা পাবেন। মাওয়া সড়কের পাশেই বেশ কয়েকটি আবাসিক প্রকল্প রয়েছে যেখানে এখন কাশফুলের রাজত্ব। কেরানীগঞ্জের ভেতরের দিকেও কাশবন রয়েছে বেশ কয়েকটি। দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসতে পারবেন এখান থেকে।
জেনে নিন
- কাশবন সাধারণত নির্জন থাকে। তাই একাকী না গিয়ে দলবেঁধে যাওয়াই ভালো।
- ঘুরতে যাওয়ার কারণে আশেপাশের এলাকাবাসী বা পথচারীদের অসুবিধা হচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি।
- পলিথিন অথবা প্লাস্টিক ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
- কাশফুল বেশ ধারালো। এছাড়া কাশফুলের রেণু আঠালো ধরনের। এগুলো পোশাক নষ্ট করে দিতে পারে। তাই চলাফেরায় প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন জরুরি।