X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিশুরা খেলতে খেলতে বেড়ে ওঠে যেখানে

হাসনাত নাঈম
০২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:১০আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:২৮
image

চাকরিজীবী বাবা-মা সবসময়ই চেষ্টা করেন কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার আগে সন্তানকে নিরাপদে রেখে যেতে। সে কারণেই ডে কেয়ার সেন্টারের শরণাপন্ন হন তারা। আজকের গল্পটি একটি ডে কেয়ার সেন্টারের।

শিশুরা খেলতে খেলতে বেড়ে ওঠে এখানে
২০০১ সালের কথা। ফারহানা আহমেদ সবেমাত্র গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ থেকে চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট ও ফ্যামেলি রিলেশনশিপ বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন। ভাবছেন শিশুদের নিয়ে কিছু একটা করবেন। এরই মধ্যে চাকরি পেয়ে যান আইসিডিডিআরবিতে। পরে ব্যক্তিগত কারণে ছেড়ে  দেন চাকরি। ২০১৫ সালে আবার শিশুদের নিয়ে কিছু করার বিষয়ে ভাবতে থাকেন। এসময় পাশে পেয়ে যান আরেক সহকর্মী সুপ্তি জিন্নাতকে। মিলে যায় দুজনের ভাবনা। ঠিক করে ফেলেন একটি ডে কেয়ার সেন্টার করবেন। শুরু করেন এই নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা। ধানমন্ডির ১১ নাম্বার রোডে সানসাইন নামের ডে কেয়ার সেন্টারটি ২০১৬ সালে চালু করেন ফারহানা। শুরু থেকেই ফারহানা ও জিন্নাত সারাদিন সময় দিয়ে যাচ্ছেন এখানে। তৈরি করেছেন নিজেদের স্বপ্ন। কাজ করছেন শিশুদের নিয়ে।

শিশুরা খেলতে খেলতে বেড়ে ওঠে যেখানে






ব্যস্ত অভিভাবকরা নির্ভয়ে সানসাইনে তাদের সন্তানকে রেখে কাজে যাচ্ছেন।  বর্তমানে এই এখানে ১৫ জন শিশু আছে। জিন্নাত শিশুদের জন্য তৈরি করেন ডায়েট চার্ট। শিশুর সারাদিনের পরিচর্যায় আছে ৫ জন কর্মী।
ফারহানা বলেন, ‘এখানে আসা প্রতিটি শিশুর সারাদিনের শুধু সময় ব্যয় করাটা আমাদের কোনও উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই আমাদের এখানে আসা প্রতিটি শিশু যেন পরিপূর্ণ শিক্ষা পায়। সেই সাথে যেন নৈতিক শিক্ষার কোনও কমতি না থাকে। এজন্য আমরা গান শেখানো ও ছবি আঁকার ব্যবস্থা রেখেছি। বই থেকে গল্প পড়ে শোনাই আমরা।  সবর্দা গেজেটগুলো থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি। অভিভাবকরা সহজে সন্তুষ্ট রাখার জন্য বর্তমানে সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বিভিন্ন গেজেট। এটা একদমই ঠিক নয়। আমরা তৈরি করেছি গেজেটবিহীন এক শিক্ষণীয় পরিবেশ। এক বছরের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি মোটেও কোন খারাপ ফলাফল আসেনি। বরং সন্তুষ্ঠ হয়েছেন অভিভাবকরা।’

ফারহানা
‘ফিজিক্যাল হেলথ কেয়ার শিশুর জন্য খুবই জরুরি। যেটা না হলে একটা শিশু আমাদের পরিবেশের সাথে সহজে মিশতে পারে না। কিন্তু, আমাদের অভিভাবকরা ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিগুলো থেকে দূরে রাখে শিশুদের। ফলে আমাদের নতুন প্রজন্মরা সামান্য রোদ-বৃষ্টিতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এজন্য আমাদের ডে কেয়ারে আসা শিশুদের মাটি-বালি দিয়ে ইচ্ছেমত খেলতে দিই। বিকেলে পার্কে খালি পায়ে হাঁটাই’- বলেন ফারহানা।

ছবি: রায়হান পরাগ ও সংগ্রহীত

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে ইসরায়েলকে ক্রসিং খুলে দেওয়ার নির্দেশ জাতিসংঘের
গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে ইসরায়েলকে ক্রসিং খুলে দেওয়ার নির্দেশ জাতিসংঘের
হৃদরোগ বিভাগে ছারপোকার রাজত্ব, হাসপাতাল পরিচালক দুষছেন রোগীদের
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালহৃদরোগ বিভাগে ছারপোকার রাজত্ব, হাসপাতাল পরিচালক দুষছেন রোগীদের
‘মডার্ন মেট্রোপলিস’ থিমে ঈদ সংগ্রহ এনেছে ঢেউ
‘মডার্ন মেট্রোপলিস’ থিমে ঈদ সংগ্রহ এনেছে ঢেউ
কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা
কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়