X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

বড়দিনের খাবার দেশ ভেদে ভিন্ন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:৪৪আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:৪৭

বড়দিনের খাবার দেশ ভেদে ভিন্ন বড়দিনের খাবার বলতে গেলেই চোখ বন্ধ করে মনে আসবে নানা মুখরোচক খাবারের কথা। তবে ঐতিহ্যবাহী  খাবারের কথা বললে কেক, জিঞ্জার ব্রেড আর ল্যাম্ব রোস্ট, আস্ত মুরগী বা টার্কির রোস্ট, মোড়কে মোড়ানো চকলেট, ফ্রুট টার্ট, আপেল দিয়ে তৈরি পাই বা অন্য কোনও আইটেমের কথাই মনে পড়বে।

সারা বিশ্ব এসব খাবার দিয়েই বড়দিন পালন করে আসে। তবে বাংলাদেশে এই চিত্রটা একদম ভিন্ন। এখানে ঈদ বা পূজা পার্বনে যেমন বাঙালি খাবার হয় বড়দিনেও তেমন আয়োজন হয়।

হলি রোজারি চার্চের ফাদার মিন্টু পালমা জানালেন, বড়দিনের উৎসবে নির্দিষ্ট কোনও ধর্মীয় খাবার নেই। যে দেশে যে খাবার সেটিই মূল থাকে। তবে গ্রাম বাংলায় বড়দিনের উৎসবের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী খাবারের হিসেবে পিঠা দারুণভাবে মিশে গিয়েছে। ফাদার জানান, বাংলার প্রতিটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাড়িতে পিঠা আবশ্যক। সময়ের কারণে ঢাকার মানুষেরা কেক বেছে নেন। তবে পিঠাই মূল খাবার। তার সঙ্গে পোলাউ মাংস তো থাকেই বলে জানান ফাদার।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ্যানি আন্তনীয়া বাড়ৈ জানালেন, তাদের বা তাদের কোনও স্বজনদের বাড়িতে বিদেশিদের মতো ডাক রোস্ট, জিঞ্জার ব্রেড এসব হয় না। ঈদের মতো পোলাউ, মাংস, রোস্ট, রান্না করা হয়। সঙ্গে থাকে কেক ও পিঠা। কখনও কেক ঘরে বানানো হয়, কখনও বাইরে থেকে কিনে আনা হয়। এবার বড়দিনে ভাঁপা, পাটিসাপটা, তেলে পিঠা করা হয়েছিল। সঙ্গে পোলাউ, মাংস। বড়দিনের খাবার দেশ ভেদে ভিন্ন

বিয়ের পর প্রথম শ্বশুড়বাড়িতে প্রথম বড়দিন পালন করছেন একা রোজারিও জুলিয়েট। সাভারে তার শ্বশুড়বাড়ি সকাল থেকে সেজেগুজে চার্চে ছিলেন। দুপুর নাগাদ ফিরেই দেখেন বাড়িতে এলাহী কারবার- গরুর মাংস, মুরগী পোলাউ, আরও কত খাবার। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল পোলাউ-মাংসের সঙ্গে নানা রকম চাটনি। আর হয়েছিল নানা রকম পিঠা। পাটিসাপটা, মালপোয়া, ছাচ পিঠা, পাকন, মেরা পিঠার সঙ্গে ছিল কয়েকরকম কেক। একা জানালেন, আশেপাশের বাড়িতে পর্ক বা শুকরের মাংসের বিশেষ একটা আইটেম করে এবার করা হয়নি তাদের বাড়িতে। তবে প্রতিবারই করা হয়।

ডায়ানা শাহ এবার বড়দিন পালন করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রথমবার পরিবার পরিজন ছেড়ে দূরে। এবার সেখানে ঐতিহ্যবাহী ডাক রোস্ট জিঞ্জার ব্রেড দিয়েই সারবেন। তবে বাংলাদেশে থাকাকালীন তাদের বাড়িতে ক্রিসমাসে পোলাউ মাংসই প্রধান আইটেম ছিলো। সঙ্গে থাকতো কেক আর পিঠা। বড়দিনের খাবার দেশ ভেদে ভিন্ন

কান্তা জানালেন, যে দেশে যেই আচার। বাংলাদেশের ক্রিসমাস মানেই ঈদের আমেজ। বাড়ি ভরতি মেহমান বন্ধু-বান্ধব। তাদের খাওয়া আড্ডা হইচই। কখনও বাইরে খেতে যাওয়া। আমেরিকায় ক্রিসমাস একদম অন্যরকম। মাসব্যাপি চলে উৎসব।

/এফএএন /
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
এক সপ্তাহের মাথায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আরেকজন নিহত
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!