ভোরের বিন্দু বিন্দু শিশির তখন হলুদ ফুলের শরীরজুড়ে। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তার মতো ঝিকমিকে শিশির কণা গড়িয়ে নামে। সকালের রোদে ঝলমল করতে থাকে মাঠভর্তি হলুদ সরিষা ফুল। যতদূর চোখ যায় কেবল হলুদ আর হলুদ। যেন সবুজ মাঠজুড়ে আগুন লেগেছে! ধীরে ধীরে বেলা গড়িয়ে নামে বিকেল। বিকেলের ‘কন্যাসুন্দর’ আলোয় হলুদ ফুলগুলোর রূপ যেন আরেকটু খোলে। মিষ্টি বাতাসে দুলে দুলে ওঠে ফুলের ডগা। ফিরে আসতে শুরু করে শিশিরের দল। জমিয়ে বসে ফুলে।
শীতের রিক্ততায় রং ও প্রাণের স্পন্দন নিয়ে আসে সরিষা ফুল। দিগন্ত বিস্তৃত হলুদ সরিষা ফুলে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। নাগরিক জীবনে হাঁপিয়ে উঠলে একটু সময় করে হলুদের রাজ্য থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সরিষা ফুলের হলদে সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। ঢাকার আশেপাশেই পেয়ে যাবেন চমৎকার সব সরিষা ক্ষেত।
ঢাকা থেকে মাওয়া রোড ধরে শ্রীনগরের কুসুমপুর চলে জেতে পারেন। এখানে রয়েছে বিশাল বিশাল সরিষা ক্ষেত। অথবা কেরানীগঞ্জ হয়ে দোহার নবাবগঞ্জের দিকেও ঢুঁ মারতে পারেন। নরসিংদী বা আমিনবাজার পার হয়ে মানিকগঞ্জেও এখন সরিষা ফুলের মুগ্ধতা।
মনে রাখবেন
- আপনার কোনও কাজে সরিষা ক্ষেত যেন নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রাখবেন। অনেকেই ছবি তোলার জন্য সরিষা ফুল মাড়িয়ে নষ্ট করেন।
- খুব বেশি মানুষ একসঙ্গে সরিষা ক্ষেতে না যাওয়াই ভালো। এতে অরিতিক্ত হইচই হয় যা স্থানীয় বা মাঠে যারা কাজ করেন তাদের জন্য বিরক্তির কারণ হতে পারে।
- চিপসের প্যাকেট অথবা অপচনশীল কিছু ফেলে আসবেন না।