বয়সে ছোট, বড় প্রায় সবাই চকোলেট পছন্দ করেন। কিন্তু বিশেষভাবে হোয়াইট চকোলেট যাদের পছন্দ তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। সম্প্রতি লাইফস্টাইল নির্ভর সাইট বোল্ডস্কাই এক গবেষণার বরাতে জানিয়েছে, হোয়াইট চকোলেটের রয়েছে বেশ কিছু উপকারি দিক যা মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।জেনে নেই চকোলেটের উপকারিতা-
১. ক্যালসিয়াম
হোয়াইট চকোলেট তৈরির অন্যতম একটি উপাদান হচ্ছে দুধ। ফলে এতে প্রায় ১৬৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম, মানব শরীরের হাড় ও দাঁতের পাশাপাশি হৃৎপিণ্ড, পেশী এবং স্নায়ু ভালো রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
হোয়াইট চকোলেটে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব শরীরের কার্ডিওভাস্কুলারের জন্য বেশ উপকারি এবং এটি নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহযোগিতা করে। মূলত হোয়াইট চকোলেট তৈরিতে যে কোকোয়া বাটার ব্যবহৃত হয়, তাতে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানটি থাকে।
৩. হাইপারটেনশন কমায়
হোয়াইট চকোলেটে বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে। এগুলোর মধ্যে লাইনোলেইক এসিড স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। বিশেষ করে রক্তনালীর ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষকদের ভাষ্য অনুযায়ী, লাইনোলেইক এসিড হৎপিণ্ডকে নিজ কাজ নিরিবিচ্ছিন্নভাবে করতে সাহায্য করে, ফলে হৃদ কম্পন অনেকটাই স্থিতিশীল থাকে।
৪. কোলেস্টোরেলের মাত্রা ঠিক রাখে
শরীরের জন্য যে কোলেস্টোরেলগুলো ক্ষতিকর সেগুলোকে দমিয়ে রাখে হোয়াইট চকোলেট। শুধু তাই নয়, শরীরের জন্য উপকারি কোলেস্টোরেলের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয় এই চকোলেট। ফলে হোয়াইট চকোলেটপ্রেমীদের করোনারি হদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।
৫. বাতের ব্যথা কমায়
বাতের ব্যথা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে হোয়াইট চকোলেট। হোয়া্ইট চকোলেটের প্রচুর পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বাতের ব্যথা সৃষ্টিকারী ইউরিক এসিডের অণুগুলো ভেঙে দেয় বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।
৬. স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
এক জরিপে জানা গেছে, হোয়াইট চকোলেট স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম। হোয়াইট চকোলেটের আরেকটি অন্যতম উপাদান ‘পলিফেনলস’ স্তন ক্যান্সার হতে পারে এমন সেলগুলোকে জমাট বাঁধতে দেয় না বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।
৭. ঘুমাতে সাহায্য করে
সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। হোয়াইট চকোলেটের উপাদান ডোপেমাইন শরীরকে শিথিল করে দেয় যা ঘুমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। ঘুমে থাকাকালীনও চকোলেটের এ উপাদানটি শরীর এবং মস্তিষ্ককে শিথিল রাখে, ফলে ঘুম ভালো হয়।
৮. অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ কমায়
অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। এ থেকে রেহাই পেতে ডেজার্ট হিসেবে হোয়াইট চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। এতে করে ধীরে ধীরে অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণের অভ্যাস কমে আসতে শুরু করে। ৯. স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে
ডিমেনশিয়ার মতো রোগ পর্যন্ত ঠেকাতে সক্ষম হোয়াইট চকোলেট। এর অন্যতম উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড হিসেবে থাকে। আর এই ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদানটিই মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারি এমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা।
১০. মন ভালো রাখে
হোয়াইট চকোলেটের উপাদানগুলো মন ভালো রাখতে সক্ষম এমন হরমোন তৈরি করে শরীরে। আর তাই, মন খারাপ থাকলে বা কোনো কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলে হোয়াইট চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।