বরাবরের মতো এবারও ২৫ মার্চ কালরাতের শহীদদের স্মরণে যাত্রা করেছে ‘লালযাত্রা’। প্রাচ্যনাট্যের আয়োজনে ২৫ মার্চ বিকাল সাড়ে পাঁচটায় ৭ম বারের মতো এই যাত্রার আয়োজন করেছে প্রাচ্যনাট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর থেকে শুরু করে চিরন্তন চত্বর (ফুলার রোড সড়কদ্বীপ) গিয়ে শেষ হয়। এসময় প্রাচ্যনাটের সদস্যরাসহ সাধারণ মানুষ লালযাত্রায় অংশ নেয়।
২৫ মার্চের সেই ভয়াল রাতে হাজারো বাঙালির উপর অতর্কিত হামলা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই অতর্কিত হামলায় জাতি প্রস্তুত ছিল না। সেসময় নির্বিচারে হাজারও বাঙালি শহীদ হন। মূলত ২৫ মার্চের সেই কালরাত্রির শহীদদের স্মরণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলীতে এই আয়োজন করে প্রাচ্যনাটের দলটি। লালযাত্রা শুরুর আগে সেখানে প্রাচ্যনাটের শিল্পীরা ছোট আকারে নাটক মঞ্চায়ন করে। নাটকে ফুটিয়ে তোলা হয় সেই কাল রাতের খণ্ড খণ্ড কিছু চিত্র। এরপরই লালযাত্রাটি যাত্রা শুরু করে ফুলার রোডের সড়কদ্বীপ চিরন্তন চত্বর দিকে। এ সময় হেঁটে হেঁটে গাওয়া হয় ‘ধন ধান্য পুষ্পভরা’সহ আরও বেশকিছু দেশাত্মবোধক গান।
প্রাচ্যনাটের সদস্য ও লালযাত্রার মূল ভাবনা ভেবেছেন নাট্যকর্মী এবং জলের গানের গায়ক রাহুল আনন্দ। তিনি বলেন, লালযাত্রা আসলে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালানো হয়। তাদের যে তাজা রক্ত, সেই রক্ত মেখেই হয়তো আমাদের স্বাধীনতার সূর্যটা গাঢ় লালে পরিণত হয়েছে। ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে রক্তে ভেজা রাস্তাটা, সেটা তো আমরা দেখিনি। কিন্তু, সেটার প্রত শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা এই লাল যাত্রার আয়োজন করেরে আসছি। এবং ইচ্ছা আছে যতদিন বেঁচে থাকবো, এই আয়োজন করে যাবো।
এই লালযাত্রা ২০১০ সাল থেকে আয়োজন করে আসছে প্রাচ্যনাট্য দলটি। সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয় চিরন্তন চত্বরে।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।