X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

জমজমাট মাগুরার ঈদ বাজার

মাগুরা প্রতিনিধি
১২ জুন ২০১৮, ১৮:০৫আপডেট : ১২ জুন ২০১৮, ১৮:১১
image

শেষ মুহূর্তের বেচাকেনায় জমে উঠেছে মাগুরার ঈদ বাজার। তৈরি পোশাক, শাড়ির দোকান, জুতার দোকানে ভিড় দেখা গেলেও অর্ডারের কাজ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন পোশাকের কারিগররা। এদিকে প্রচণ্ডভিড়ের কারণে শহরে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

জমজমাট মাগুরার ঈদ বাজার
শহর ঘুরে দেখা গেছে,শহরের জামে মসজিদ রোডে অবস্থিত জুতাপট্টি এবং কাপুড়িয়াপট্টিতে এখন সবচেয়ে বেশি ভিড়। এখানকার শাড়ি এবং জুতার দোকানিদের রীতিমতো নাকাল হতে হচ্ছে ভিড় সামলাতে।
নাইট সুজের স্বত্বাধিকারী জুলফিকার আলী মিলু বলেন,ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে মূলত জুতার দোকানগুলোতে চাপ শুরু হয়। এই ভিড় চাঁদরাত পর্যন্ত চলতে থাকে।

জমজমাট মাগুরার ঈদ বাজার
বৈশাখী শাড়ি কুটিরের কর্মী রায়হান জানান,এতদিন শাড়ির দোকানে বেশি বেচাকেনা ছিল না। তবে শেষ মুহূর্তে এসে বেড়ে গেছে বেচাকেনা।
শহরের প্রধান দুটি বিপণীকেন্দ্র বেবি প্লাজা এবং নূরজাহান কমপ্লেক্সেও বেড়েছে ভিড়। রোজার শুরুতে তৈরি পোশাকের চাহিদা কম থাকলেও শেষের দিকে বেচাকেনা বাড়ছে বলে জানালেন দোকানিরা।
বেবি প্লাজার দোকানি শরিফ হোসেন জানান, বাচ্চাদের পোশাকের চাহিদা অনেক বেশি।
নূরজাহান কমপ্লেক্সের কর্মী প্রসেনজিৎ বলেন,‘আমরা তৈরি পোশাক বিক্রি করি না। রোজার শুরুতে প্রচুর আনস্টিচ থ্রি পিস বিক্রি করেছি। এখন দর্জি অর্ডার নিচ্ছে না তাই বেচাকেনা কম। তবে এ মার্কেটের তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতে এখন ক্রেতাদের ভিড়।’
সৌরভ টেইলার্সের মালিক রবিউল ইসলাম বলেন,‘এবার প্রথম থেকেই কাজের খুব ব্যস্ততা। ১৫ রোজা থেকে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি তবু সারারাত দর্জিরা কাজ করেও তা শেষ করতে পারছে না।’

জমজমাট মাগুরার ঈদ বাজার
শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার গৃহিণী লিপি পারভিন বলেন,‘এবার তৈরি পোশাকের দাম বেশি বিধায় বেশিরভাগ পোশাক টেইলার্স থেকে বানিয়েছি। এখন জুতা ও প্রসাধনী কিনতে এসেছি মার্কেটে।’
কেশব মোড়ের বাসিন্দা রুবাইয়েত ফিরোজ বলেন,‘মার্কেটে যাওয়াই কঠিন কাজ। প্রচণ্ডযানজট ঠেলে আসতে হচ্ছে। তাছাড়া সবকিছুর দাম যেন এ বছর একটু বেশি।’
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন,‘ঈদের মার্কেটে একটু ভিড় হবেই। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী খুবই তৎপর। কোনও ধরনের বিশৃংখলা ঘটতে দেওয়া হবে না।’

/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঢাকায় গ্রিসের দূতাবাস স্থাপন ও জনশক্তি রফতানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা
হাছান মাহমুদের সঙ্গে গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকঢাকায় গ্রিসের দূতাবাস স্থাপন ও জনশক্তি রফতানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই ধাপে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালনের নির্দেশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই ধাপে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালনের নির্দেশ
তামিমের ফেরা প্রসঙ্গে শান্ত, ‘সবার আগে উনার চাইতে হবে’
তামিমের ফেরা প্রসঙ্গে শান্ত, ‘সবার আগে উনার চাইতে হবে’
পশ্চিম তীরে ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরায়েলি সেটেলাররা
পশ্চিম তীরে ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরায়েলি সেটেলাররা
সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির ‘ঈদের চিঠি’ ও ভারতে রেকর্ড পর্যটক
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি
বিসিএস পরীক্ষা দেবেন বলে ক্যাম্পাসে করলেন ঈদ, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি
চাসিভ ইয়ার দখল করতে চায় রাশিয়া: ইউক্রেনীয় সেনাপ্রধান
চাসিভ ইয়ার দখল করতে চায় রাশিয়া: ইউক্রেনীয় সেনাপ্রধান
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ডাবের পানি খাওয়ার ১৫ উপকারিতা
ডাবের পানি খাওয়ার ১৫ উপকারিতা