ঈদ উল আজহায় যেহেতু পশু কোরবানির ঝক্কি থাকে তাই এই ঈদে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ কম। দায়িত্ব নিয়ে প্রচুর কাজ করতে হয়। ঈদের আগে থাকে গরুর যত্ন-আত্তি করার দায়িত্ব। কোরবানির পরে আসে, পরিচ্ছন্নতা, মাংস বিলি বণ্টন এবং সংরক্ষণের দায়িত্ব। তাই ভীষণ হিসাব করে কাজ করতে হয় এই ঈদে। একটু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিগুলো আগে থেকেই তালিকা করে রাখলে ঈদের ঝক্কিটা একটু কমে। দেখে নেই কী কী কাজ করার আছে ঈদে-
১) ঈদের আগের দিন বাজার সেরে ফেলা উচিত। কারণ ঈদের দিন অধিকাংশ স্থানে দোকান বন্ধ থাকে।
২) বাজার তালিকায় পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্লিচিং, স্যাভলন, পলিব্যাগ রাখতে ভুলবেন না। ময়লা ফেলার জন্য এক ধরনের পলিব্যাগ, মাংস সংরক্ষণ ও বণ্টনের জন্য আলাদা ধরনের পলিব্যাগ কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম করে কিনতে হবে।
৩) সম্ভব হলে এক সপ্তাহ আগেই মশলা প্রস্তুত করে রাখবেন।
৪) দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ পশু জবাইয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করে দিয়েছে। সেসকল নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করুন। বাড়ির বাইরে, উঠোনে বা রাজপথে পশু জবাইয়ের চেষ্টা করবেন না।
৫) সেরকম স্থান পাওয়া সম্ভব না হলে, বর্জ্যগুলো যেখানে-সেখানে (পুকুরে, ড্রেইনে, রাস্তায়, খালে বা নদীতে না ফেলে সঠিক ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য পুঁতে ফেলুন।
সত্যি কথা বলতে এসব জৈব বর্জ্য থেকে খুব ভাল কম্পোস্ট সার হতে পারে।
৬) পরিচ্ছন্নতায় ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করলে , নিজের দিকে খেয়াল রাখুন। খালি হাতে ব্লিচিং পাউডার ধরবেন না। ত্বকের ক্ষতি হবে।
৭) পরিচ্ছন্ন স্থানে মাংস কাটুন।
৮) মাংস কাটার সময় সাবধান থাকুন। ধারালো ছুরিতে হাত পা কাটার ঝুঁকি ছাড়াও প্রচন্ড জোরে হাড় কাটতে গিয়ে নিজের হাতে, হাতের জয়েন্টে, কোমরে ব্যথা পেতে পারেন।
৯) অনেক সময়, হাড়ের টুকরো ছুটে এসে চোখে ঢুকতে পারে। সাবধান থাকুন।
১০) সম্ভব হলে, গ্লাভস ব্যবহার করুন।