হয়তো আপনার প্রতিদিনের অফিস সময়টুকু ডেস্কেই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কেটে যায়। হাতে হয়তো অনেক কাজ থাকে, সবদিন শেষ করে হয়ে ওঠার সুযোগ পান না। এক্ষেত্রে আপনার জন্য রয়েছে সুসংবাদ, মাত্র পাঁচটি ধাপের সহায়তায় নিজের কার্যক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে নিতে পারেন আপনি। ফোর্বস ম্যাগাজিন, নুকডেস্ক এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকের জেমি ফেশ্চ-এর বরাত দিয়ে জানিয়েছে এই ধাপ পাঁচটি সম্পর্কে। এক নজরে জেনে নেওয়া যাক ধাপগুলো-
১. দশ মিনিটের বিরতি
ব্যস্ততার মধ্যে বিরতির কথা পড়ে হাসতেই পারেন। কিন্তু, ব্যস্ততার মধ্যে ১০ মিনিটের বিরতি আপনার কাজটি আরও দ্রুত শেষ করতে সহযোগিতা করবে। পরিশ্রান্ত মানসিকতা নিয়ে একটি কাজ শেষ করা, আর প্রশান্তিতে ওই একই কাজ শেষ করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ১০ মিনিটের জন্য উঠে পড়ুন আপনার ডেস্ক থেকে, চাইলে নিরবে সময়টুকু অফিসে হেঁটে কাটিয়ে দিতে পারেন বা অন্য সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলে কাটিয়ে দিতে পারেন। বিরতি শেষে আবার কাজটিতে হাত দিন। দেখবেন আগের মতো বিরক্তি বা পরিশ্রান্ত কাজ করছে না। দৈনন্দিন অফিস রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করে নিন বিষয়টি।
২. ডেস্কে ব্যক্তিগত জিনিস কম রাখুন
হয়তো সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা আপনার অফিস ডেস্কেই কাটে। এজন্য নিজস্ব ব্যক্তিগত বিভিন্ন জিনিস বাসা থেকে এনে, তা দিয়ে ডেস্ক সাজিয়ে রেখেছেন। কিন্তু, বিষয়টি যে আপনার কার্যক্ষমতায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে তা কী লক্ষ্য করেছেন? এতে করে কিছুটা হলেও আপনার মনোনিবেশে ব্যঘাত ঘটছে। কার্যক্ষমতা বাড়াতে ডেস্ক থেকে আজই সড়িয়ে ফেলুন বাড়তি ব্যক্তিগত জিনিসপত্র।
৩. অ্যাপের সাহায্য নিন
প্রযুক্তির এই যুগে অ্যাপের অভাব নেই। এমনকি কার্যক্ষমতা বাড়ানোর অ্যাপও রয়েছে। চাইলে সে অ্যাপগুলোর সাহায্যে নিতে পারেন। খোদ জেমি ফেশ্চ নিজ অফিস কর্মচারীদের এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। জেমি ফেশ্চ যে অ্যাপটি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করেন, সেটি হচ্ছে ব্রেইন.এফএম। ডাউনলোড করে দেখতে পারেন, ক্ষতি তো নেই।
৪. পছন্দের রংয়ে সাজান ডেস্কটিকে
ডেস্কে হয়তো অনেক স্টিকি নোটস রয়েছে, ফাইল ফোল্ডারেরও অভাব নেই। চেষ্টা করুন স্টিকি নোটের রং থেকে শুরু করে ফাইল ফোল্ডারের রংগুলো যাতে আপনার পছন্দের হয়, সে ব্যবস্থা করার। এতে করে শত কর্মব্যস্ততার মধ্যে থাকলেও, মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কমে আসবে। এটিও আপনার কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
৫. অন্তত একবার হাত-পা ছড়িয়ে বসুন
চেষ্টা করুন দিনে অন্তত একবার আরায়দায়কভাবে হাত-পা ছড়িয়ে বসতে, এতে করে শরীরের পেশীগুলো আরাম পাবে। দেখবেন অনেকটাই চাপমুক্ত বোধ করছেন। এবার আবার কাজে ফিরে যান। দেখবেন কাজের চাপ থাকলেও, আগের চেয়ে সহজে শেষ করতে পারছেন সেগুলো।