তীব্র মানসিক চাপ ও দুঃশ্চিন্তা দৈনন্দিন ঘুমের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলে। কিন্তু সহজ কিছু পন্থা অবলম্বন করে মানসিক চাপের মধ্যেও ঠিক রাখতে পারেন ঘুমের ব্যাপারটি। হেলথ ডটকমের প্রতিবেদনে বরাতে চলুন জেনে নেওয়া যাক মানসিক চাপের মধ্যেও ঘুম ঠিক রাখার পন্থাগুলো সম্পর্কে-
১. দুঃশ্চিন্তার কারণ চিহ্নিত করুন
দুঃশ্চিন্তার কারণ যদি খুঁজে বের করার সুযোগ থেকে থাকে, তাহলে কষ্ট করে তা চিহ্নিত বের করুন। গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে, ঘুমানোর আগে দুঃশ্চিন্তার কারণ সম্পর্কে ভাবুন, সম্ভব হলে কোনও খাতায় তা লিখুন। দেখবেন মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কম বোধ করছেন। এবার ঘুমের প্রস্তুতি নিন। এ পন্থায় কিছুটা হলেও, ঘুমানোর আগে মানসিক চাপ কমে আসবে।
২. ঠিক রাখুন বেডরুমের পরিবেশ
যতো মানসিক চাপের মধ্যেই থাকুন না কেন, বেডরুমের পরিবেশ ঠিক রাখুন। বেডরুম অগোছালো থাকলে গুছিয়ে রাখার ব্যবস্থা করুন। রুমের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা করুন। এতে করে দিনশেষে ঘর ফিরে খানিকটা হলেও স্বস্তি বোধ করবেন এবং এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।
৩. ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকুন
অনেক মানুষকেই দেখা যায়, দুশ্চিন্তায় ঘুমোতে পারছেন না কিন্তু কাপের পর কাপ কফি বা চা পান করছেন। গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে, এ কাজটি না করার। কারণ দুশ্চিন্তায় থাকলে এমনিতেই স্নায়ু উত্তেজিত থাকে। আর ক্যাফেইন স্নায়ুর সে উত্তেজনার মাত্রা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। সুতরাং ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকুন।
৪. মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে, আর ঘুমানোর চেষ্টা না করা
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মন নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পরও, অনেকসময় দেখা যায় মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেছে। সাধারণত মানুষ চেষ্টা করেন বিছানা থেকে না উঠে আবারও ঘুমানোর। কিন্তু এটি সঠিক পথ নয় বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। এতে করে গুমের পরিবর্তে আবারও ঝেঁকে বসতে পারে দুঃশ্চিন্তা। এজন্য গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে, যেটুকু বিশ্রাম হয়েছে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। উঠে হালকা ধরনের কাজ করুন, যেমন কাপড় আয়রন করা বা টেবিলটি গুছিয়ে রাখা। কিছুক্ষণ পর যদি আবারও ঘুম আসছে এমনটা বুঝতে পারেন, তাহলে ফিরে যান বিছানায়। তবে ভুলেও টিভি চালু করবেন না বা বই পড়তে যাবেন না। এতে করে ঘুমের আমেজটাই নষ্ট হয়ে যাবে।
সূত্র: হেলথ ডটকম।