স্টলে স্টলে চলছে গরম গরম পিঠা ভাজা। ফুল বাহারি, বিবি খানা, হৃদয় হরণ, কুসুমপুলি, ডিম সুন্দরী, নারকেল বরফি, চালতাপাতাসহ বাহারি নামের সব পিঠা দেখতে আর স্বাদ নিতে স্টলগুলোতে ভিড় জমিয়েছে পিঠাপ্রেমীরা। দুধ চিতই, লবঙ্গ লতিকা মালপোয়া, মুগপাকন, দুধ পুলি, ভাপাপিঠা , নকশি পিঠা, মুগ পাকন, খেজুরপিঠা, পাটিসাপটাসহ নজরকাড়া সব পিঠার স্বাদ নিতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় পিঠা উৎসবে।
প্রায় প্রতিটি স্টলেই ভাজা হচ্ছে পছন্দের সব পিঠা। চুলা থেকে নামানোর সঙ্গে সঙ্গেই নিতে পারেন পছন্দের পিঠার স্বাদ।
বন্ধুদের সঙ্গে পিঠা খেতে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফসানা বলেন, 'পিঠামেলায় বিভিন্ন রকমের পিঠা বানানো হচ্ছে। অনেক নতুন নতুন পিঠা দেখছি, স্বাদ নিচ্ছি।'
পিঠার এই মহোৎসবে রয়েছে অঞ্চলভিত্তিক পিঠার স্টল। ঢাকা, যশোর, চিটাগাং, বরিশাল, ফরিদপুর নোয়াখালিসহ দেশের প্রায় অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহীর পিঠার আয়োজন হয়েছে পিঠা উৎসবজুড়ে। বেলুন, ফুল, শখেরহাড়ি, ছিঁকায় দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টিতে সাজানো হয়েছে স্টলগুলো।
কথা হলো বিক্রমপুর পিঠাঘরের নিলার সঙ্গে। তিনি বলেন, 'আমাদের বিক্রমপুরের পিঠা অনেক বিখ্যাত ও স্বাদের। অন্য অঞ্চলের মানুষ আমাদের পিঠাগুলো বানাতে পারে না। বিক্রমপুরের পিঠার সাথে সবাইকে পরিচয় করাতেই আমাদের আয়োজন।
উত্তরা থেকে আসা জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'আমি মূলত ঝিনাইদহের মানুষ। সময়-সুযোগের অভাবে বাসায় পিঠা বানানো হয় না। মেলায় এসে ঝিনাইদহের স্টল থেকে পিঠা খেলাম, বাসার জন্য পিঠা কিনলাম।'
সচরাচর দোকানে যেসব পিঠা পাওয়া যায়, সেগুলো বাইরেও রয়েছে বকুল পিঠা, তালের পিঠা, ঝাল চাপড়ি, কলা পিঠা, পাতা পিঠা, জবাফুল পিঠা, চুসিপিঠা,রসবড়া,কাঁঠাল পিঠা, আম পিঠা, ক্ষীরসা, খেজুর কিন্নি, সাবু পিঠা, নকশি পিঠা, মাশরুম পিঠা,লিচু পিঠাসহ হরেক রকম পিঠা।
১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত পিঠা উৎসব চলবে। সন্ধ্যা থেকে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।