বাংলা নতুন বছর আসতে আর মাত্র সাতদিন বাকি। নববর্ষকে বরণ করে নিতে বাঙালির আয়োজনের শেষ নেই। তার অনুষঙ্গ হিসেবে কী নেই। রাজধানীর নানা জায়গায় উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। মূল আয়োজন হয় রমনার বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ প্রজন্মকে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী জিনিস চেনাতে এখনই পসরা নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।
কার্জন হলের সামনে পাওয়া যাচ্ছে মাটির তৈরি তৈজষপত্র। বৈশাখে পান্তা খিচুড়ি দিয়ে আপ্যায়নে নতুন করে যোগ হয়েছে মাটির পাত্রে পরিবেশন ও খাওয়া।
চৈত্রসংক্রান্তি এবং বছরের প্রথম দিন অতিথি আপ্যায়নে মুড়ি মুড়কি বাতাসা কদমাজাতীয় গ্রামীণ বাঙালি পরিবেশনা এখন শহরের ঘরে ঘরে জায়গা করে নিয়েছে। এসব খাবার পরিবেশনের জন্য বেতের তৈরি নানা আকারের পাত্র বানানো হয়। সঙ্গে আছে শুভ নববর্ষ লেখা কুলা, চালুনিসহ আকর্ষণীয় জিনিস।
বাঙালির হাতে তালপাতার পাখা আর সেই পাখার কত রকমফের দেখে আসছে মানুষ বছরের পর বছর। ঢাকার ফুটপাত দখল করেছে এখন এসব জিনিস। তালপাখা কিংবা গোল পাখার পসরা নিয়ে বসেছে ব্যবসায়ীরা। এই সময়টা বাঙালি তার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার দায়ে এসব জিনিস কিনতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
হাতে ক্রুশকাটার কাজ দিয়ে চুমকি বসিয়ে জাঁকজমকভাবে তৈরি করা হয়েছে নৌকা, কুলায় এই কাজ বসিয়ে বানানো হয়েছে ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে। একেকটি কাজ এতই নিখুঁত চোখ ধাঁধানো যে উৎসবে মানুষ কিনতেই চাইবে।
একতারা নিয়ে বাঙালির গান কবিতা আর জীবনযাপনের গল্প ফুরানোর না। একতারা দেশের কথা বলে, একতারা বাংলার মাঠপ্রান্তর ভালোবাসার কথা বলে। শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া উপযোগী একতারা, দেশীয় ঢোল, বাদ্য বাজবে এমন টানা গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা কেবল ১৪ ফেব্রুয়ারির। এ প্রজন্মের হাতে হাতে থাকবে এসবকিছু।