আমেরিকান ফ্রায়েড চিকেন পরিবারের ২৬ বছরের পথ চলায় নতুন করে সংযোজিত হলো মুঘল অ্যারোমা। এই রেস্তোরাঁয় থাকছে কফিবার কাপস অ্যান্ড ক্রিম। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের বিমানের উড্ডয়ন, অবতরণ দেখতে দেখতে আপনি সময় কাটাতে পারবেন। এই ফাঁকে চোখ বুলিয়ে নেবেন পুরো উত্তরায়। ১0 তালার এই রুফটপ রেস্তোরাঁয় প্রায় দেড়শ’ লোক একসঙ্গে বসে খেতে পারবেন। পার্টির জন্য এর তুলনা হবে না। খোলা আকাশের নিচে বসে সরাসরি বার্বিকিউ আর কাবাবের মনমাতানো ঘ্রাণের পাশে বসে আড্ডা দেওয়া লাইভ কিচেনের কাবাব খাওয়া সব কিছুরই ব্যবস্থা রয়েছে।

মিসরের বাবুর্চির সঙ্গে নবযাত্রা ‘মুঘল অ্যারোমা’র

আর মুঘল অ্যারোমার টার্কিশ, লেবানিজ, মিসরিয় ও আফগান কাবাব বানাবেন মিসরিয় বাবুর্চি জেইন জয়নাল আবেদিন। ২৭ বছর ফাইভস্টার হোটেলে প্রধান বাবুর্চির রান্নার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি এসেছেন বাংলাদেশের ভোজনরসিকদের তার খাবারের স্বাদ দিতে। তার স্পেশালিটি কাবাব ও সালাদ। তিনি প্রায় অর্ধশতাধিক রকমের সালাদ ও ৪০ রকমের কাবাব এক্সপার্ট। জেইনের খাবার ছাড়াও নিয়মিত থাই, ইন্ডিয়ান, ও ঢাকাইয়া খাবার তো রয়েছেই।

প্রতিষ্ঠানটির বাবুর্চিরা জানালেন, এই রেস্তোরাঁর সব রান্না কোলোস্টেরলমুক্ত তেল সাফোলা গোল্ড ওয়েল দিয়ে রান্না হয়। এছাড়াও রান্নায় একদম ফরমালিনমুক্ত তাজা সবজি, মাছ, মাংস দিয়ে রান্না করা হয়। তিনি আরও জানান, একদম রান্নায় টেস্টিং ব্যবহার করা হয় না। কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।

প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার নাহিন জানালেন, ক্রেতাদেরকে তিনি কখনওই পরিবারের সদস্যের বাইরের লোক ভাবতে চান না। তাই তাদের সুস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

মিসরের বাবুর্চির সঙ্গে নবযাত্রা ‘মুঘল অ্যারোমা’র

ভীষণ মজাদার সব স্বাস্থ্যকর খাবারের স্বাদ নিতে আজই চলে আসুন মুঘল অ্যারোমায়। কিংবা শুধু কফি বা জ্যুস খেতে চাইলেও মুঘল অ্যারোমার জুড়ি নেই। কাবাবের কথা নাইবা বললাম। ১০/১২ রকমের কাবাবের স্বাদ মিস করবেন না কিন্তু।

মিসরের বাবুর্চির সঙ্গে নবযাত্রা ‘মুঘল অ্যারোমা’র

ছবি: নাসিরুল ইসলাম/

/এফএএন/