পুষ্টিকর ফল অ্যাভোকাডো বাংলাদেশে তেমন একটা না জন্মালেও বিভিন্ন সুপার শপে এখন হরহামেশাই পাওয়া যাচ্ছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল যা সুস্থ রাখবে আপনার ত্বক ও চুল। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপকরণের সঙ্গে মেশালে এর গুণাগুণ বেড়ে যায় আরও। অ্যাভোকাডো এক মাস নিয়মিত ব্যবহার করলে উজ্জ্বল হবে ত্বক। জেনে নিন সৌন্দর্যচর্চায় অ্যাভোকাডোর ব্যবহার সম্পর্কে-
মেকআপ তুলতে
অ্যাভোকাডো তেলে তুলা ভিজিয়ে ত্বকে ঘষুন। প্রাকৃতিক উপায়ে মেকআপ তোলার অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি এটি।
চোখের নিচের কুঁচকানো ভাব দূর করতে
অনেকের চোখের নিচের অংশে বলিরেখা পড়ে যায়। কোনও মেকআপই ঢাকতে পারে না এটি। অ্যাভোকাডো পেস্ট করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের চারপাশে লাগিয়ে ঘষুন আস্তে আস্তে। অ্যাভোকাডোতে থাকা ভিটামিন-ই দূর করবে চোখের নিচের বলিরেখা।
চুলের যত্নে
ঝলমলে চুলের জন্য অ্যাভোকাডোর জুড়ি নেই। একটি পাকা অ্যাভোকাডো পেস্ট করে অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করুন হেয়ার প্যাক। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। এক ঘন্টা পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
কোমল হাতের জন্য
সুন্দর ও কোমল হাতের জন্য অর্ধেকটা পাকা অ্যাভোকাডো ও অর্ধেক পাকা কলা একসঙ্গে পেস্ট করুন। মিশ্রণটি দুই হাতে ম্যাসাজ করুন ধীরে ধীরে। ২০ মিনিট পর ধুয়ে গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন।
ঠোঁটের যত্নে
পাকা অ্যাভোকাডোর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মেন্থল তেল ও সামান্য লবণ মিশিয়ে তৈরি করুন পেস্ট। ঠোঁটে লাগিয়ে কয়েক মিনিট ঘষুন। এটি ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করবে।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য
অর্ধেকটা অ্যাভোকাডো, ২ টেবিল চামচ চিনি ও ১ চা চামচ মধু একসঙ্গে মেশান। মিশ্রণটি ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে উজ্জ্বল হবে ত্বক। এছাড়া অর্ধেক অ্যাভোকাডোর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মধু ও ১টি ডিম মিশিয়ে মুখে লাগালেও উজ্জ্বল হবে ত্বক।
/এনএ/