নিশ্চয় এতক্ষণে আপনি সেজেগুজে বের হয়ে গেছেন বসন্ত উদযাপন করতে। যদিও দিনটি শনিবার আপনার নিশ্চয় অফিস আছে, শিক্ষার্থী হলে স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় তো আছেই। তাই বলে কি বসন্ত থেমে থাকবে? মনমতো সেজেগুজে চলে যান নিজ নিজ কার্যালয়।
আজকের সাজের প্রথম শর্ত হচ্ছে স্নিগ্ধতা। বাঙ্গালির সাজের সবচেয়ে বড় গুণ স্নিগ্ধতা ও মনোরম, নয়ন জুড়ানো সাজ বলে যাকে। একদম গর্জিয়াস পার্টি সাজ দেওয়া যাবে না আজকে। যেহেতু বাংলা মাসের দিন শুরু হয় ভোর থেকে তাই উদযাপনগুলোও হয়ে থাকে সূর্য্যের আলোতে।
রোদের সঙ্গে মিলিয়ে উজ্জ্বল রঙের কাপড় পরুন। বসন্ত বলে হলুদ বা বাসন্তীর চল উঠে গেছে। আপনার পরনের পাঞ্জাবি বা শাড়িটি লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, নীল যে কোনও রং হতে পারে। রোদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে এটি কিন্তু মাথায় রাখতে হবে।তবে বেশিরভাগই আগুণ লাগানো ফাগুন আনতে লাল, হলুদ, কমলা, টিয়াকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
ছেলেরা তো পাঞ্জাবি চাপিয়ে সাজ শেষ করে দেবেন। কিন্তু মেয়েদের চাই হাত ভরতি চুড়ি, কপালে টিপ, চোখে ভারি কাজল, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক।ভারি মেকাপের চিন্তা একদম করবেন না। শুধু রোদ থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন বা সানব্লক লোশন কিন্তু মনে করে ব্যবহার করতে হবে।
আর কি চাই। চুলে ফুল কিন্তু চাই চাই। আলগা ফুল না লাগিয়ে অনেকেই টায়রা বা টোপর বেশ পছন্দ করেন ইদানিং। সেটিও চলতে পারে। মোট কথা আপনাকে আজ লাগতে হবে স্নিগ্ধ, মনোরম।
দিন শেষে বাড়ি ফিরে যত্ন করে চোখের কাজল, লিপস্টিক তুলে মুখ ধুয়ে ফেলার কথা ভুলবেন না। এক্ষেত্রে বেসন ব্যবহার করতে পারেন। ছেলেদের জন্যও মুখ পরিস্কার করা অত্যাবশ্যক। আর পারলে চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। সারাদিনের ঘোরাঘুরির ধকলের সিংহভাগ চুলের ওপর দিয়েই যায়।
ছবি: অঞ্জনস।
/এফএএন/