আত্মবিশ্বাস জীবনে সফলতা অর্জনের অন্যতম চাবিকাঠি। একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ নিজের কাজ ও যোগ্যতা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করার কারণে তাদের অনুভূতিতে সাহস, উৎসাহ, আনন্দ অনুভব করেন। যার ফলে কোনো কাজের ক্ষেত্রে এই অনুভূতিগুলোর কারণে ব্যক্তি কাজটি থেকে পিছপা না হয়ে এগিয়ে যান, ফলে কাজটিতে সফল হন।
কাজের সফলতা সবসময় ব্যক্তির বাস্তব যোগ্যতা থাকলেই হয় না, অনেক মানুষ বাস্তবে খুবই মেধাবী যোগ্যতা সম্পন্ন স্বত্বেও আত্মবিশ্বাসের অভাবে জীবনে সফল হতে পারেন না। আত্মবিশ্বাস বা নিজের উপর ইতিবাচক বিশ্বাস গড়ে তোলার সঠিক সময় হলো শিশুকাল।
আত্মবিশ্বাসী হয়ে গড়ে উঠার পিছনে যেসব বিষয় বাধা দেয় কিংবা আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে সেসব বিষয় হলো-
ছোটবেলায় কড়া নেতিবাচক সমালোচনা। আমরা অনেক সময় শিশুকে সঠিক আচরণ করতে না দেখলে কিংবা নিজেদের অতিরিক্ত প্রত্যাশার কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী শিশুকে চলতে না দেখলে খুব নেতিবাচকভাবে সমালোচনা করি। যেমন- ঘিলু নেই, কোথাও গিয়ে এ চলতে পারবে না, তোকে দিয়ে জীবনে কিছু হবে না, আস্ত গাধা, কিছু পারে না ইত্যাদি ইত্যাদি। একটি শিশু তার নিজের ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা গ্রহণ করে তার পরিবার থেকে। কোনো শিশু জন্ম থেকে হিন্দু বা মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করেনা। জন্মগ্রহণের পর শিশুটি তার পরিবারের, বিশেষ করে তার বাবা-মাকে যে ধর্মে বিশ্বাসী দেখে তাই সে বিশ্বাস করে।