সকাল সাড়ে আটটা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। গাড়ির দরজা খুলে নেমে এলেন এক বিশাল দেহী বিদেশি ভদ্রলোক। সাধারণত বিদেশি কাউকে দেখলেই আমরা একটু দাঁড়াই। এখানে বিদেশি ভদ্রলোকের সঙ্গে ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, ডিরেক্টর, ভয়েস রেকর্ডের জন্য ল্যাপেলসহ অনেক লোক। সঙ্গে আছেন চেনামুখ কমেডি শো উপস্থাপক নাভীদ মাহবুব। সবাই ঘিরে ধরেছে। সব চেনা মুখ ছাপিয়ে বিদেশিকে চেনা লাগে।
ওরে বাবা অস্ট্রেলিয়ান মাস্টারশেফ! ভীরের মধ্য থেকে এই কথাটাই কানে এলো। অস্ট্রেলিয়ান মাস্টারশেফের জনপ্রিয় বিচারক ম্যাট প্রেস্টন এখন বাংলাদেশে। ম্যাট ঘুরে বেড়াচ্ছেন ঢাকার অলিতে-গলিতে। আর যারা ম্যাটকে চিনতে পেরেছেন, তাদের চিল-চিৎকার আর সেলফি তোলার লাইন ছিল খোদ ম্যাটের জন্য বিশাল সারপ্রাইজ।
ফুড রিলেটেড ফেসবুক পেইজ, ইনস্টাগ্রাম, ছেয়ে গেছে ম্যাটের ছবিতে। ম্যাট নিজেও তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, চমৎকার লাগলো অস্ট্রেলিয়ান মাস্টারশেফের ভক্তদের ঢাকা শহরের দেখে। মেলবোর্নের শহরে তৈরি হওয়া আমাদের ছোট্ট এই টিভি শোটি কোথায় পৌঁছেছে তাই দেখে অবাক হয়েছি।
এরপর ম্যাট নিজেই মুগ্ধ হয়ে একেকটা খাবারের ছবি তুলতে থাকলেন। কখনও বাকরখানি, কখনও স্ট্রবেরি ভর্তা, ডিম পরাটা, লেবুর শরবত সবই ম্যাটের প্রোফাইলে ঢুকেছে। একইসঙ্গে বিরিয়ানী, কাবাব সব কিছুরই স্বাদ নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এই ফুড ক্রিটিক।
এত গেল কেবল ম্যাটের প্রোফাইলের কথা। অন্যদিকে ম্যাট ভক্তরা তো ফেসবুক আর ইনস্ট্রাগ্রাম কাঁপিয়ে ফেলছেন ম্যাটের ছবি দিয়ে। কেউ কেউ লিখছেন ‘দেখুন তো কে, চিনতে পারেন কিনা?’
কেউ আবার ম্যাটের প্রশংসা করা খাবারের ছবি শেয়ার দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ইস্যুর মধ্যেও ম্যাটের জয়-জয়কার। একজন স্ট্রবেরি ভর্তার খাবার শেয়ার দিয়ে বলেছেন ম্যাট এই খাবার ভীষণ পছন্দ করেছেন।
ম্যাট সম্পর্কিত একেকটা পোস্টে শতশত লাইক আর শেয়ার। ম্যাট নিজেও অবাক হাজার মাইল দুরের দেশে তার এত জনপ্রিয়তা!
ম্যাট বাংলাদেশে এসেছেন কুকিস ব্র্যান্ড রিভোলির আমন্ত্রণে। ঢাকা শহরে ঘুরে বেড়িয়ে রিভোলির বিস্কুট বিতরণের পাশাপাশি ম্যাট চেখে নিলেন বাংলাদেশের সব মনোরম খাবার।
ছবি: ম্যাটের ফেসবুক প্রোফাইলের সৌজন্যে।
/এফএএন/