X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১
কোরিয়া ও বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা

নিপীড়িত মানুষের দীর্ঘশ্বাসের ঐক্য

সাহিত্য ডেস্ক
২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৩৩আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৩৯

‘কোরিয়ায় জাপানি উপনিবেশ ও বাংলায় ব্রিটিশ উপনিবেশের মধ্যে একটা ঐতিহাসিক মিল রয়েছে। এ দুটি ঐতিহাসিক বাস্তবতায় নিপীড়িত মানুষের দীর্ঘশ্বাসের ঐক্য দেখা যায়।’
গত সোমবার বিকেলে নেত্রকোনায় ‘সাহিত্যের আলোকে কোরিয়া ও বাংলাদেশ : সমাজ, সংস্কৃতি, সম্পর্ক ও উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গোলাম কবীর।

নেত্রকোনা শহরের সাতপাইয়ের বানপ্রস্থে কোরিয়া ও বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন বর্ষীয়ান লেখক অধ্যাপক যতীন সরকার।
তিনি কোরিয়ার সাহিত্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। কিছু কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি কোরিয়ার কবিদের জীবনদৃষ্টি ও দার্শনিক বোধের দিকে নজর কাড়েন দর্শকদের।
তিনি বলেন, ‘কথায় আছে, সাত নকলে আসল খাস্তা। অনুবাদেও অনেক সময় তাই ঘটে।’ সমাজের সব ক্ষেত্রে আমাদের যে ইংরেজি-নির্ভরতা সেদিকে ইঙ্গিত করে অনুবাদে ইংরেজি-নির্ভরতা কাটিয়ে মূল ভাষার আশ্রয়ী হয়ে ওঠার পরামর্শ দেন তিনি।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেত্রকোনা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কবি ও প্রাবন্ধিক সরোজ মোস্তফা।

নেত্রকোনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক বিধান মিত্র কোরিয়ার কবিতা ও গল্পের উদ্ধৃতি টেনে সে দেশের মানুষের জীবনের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবনের মিলের জায়গাগুলো তুলে ধরেন।

কবি ও সমাজকর্মী শাহেদ কায়েস কোরিয়ায় বসবাস ও শিক্ষাজীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘জনপ্রিয় বিনোদনের সাংস্কৃতিক উপাদান যতটা না জীবনমুখী, তারচেয়ে বেশি বাণিজ্যমুখী। আজকের হিন্দি কিংবা কলকাতার টিভি সিরিয়াল যে মূলধারার জীবনের রূপ নয়, তেমনই কোরিয়ার কে-ড্রামা কিংবা কে-পপ সেখানকার মানুষের জীবনের পুরো রূপ নয়।’ 

নেত্রকোনা শহরের সাতপাইয়ের বানপ্রস্থে এই সভা অনুষ্ঠিত হয় কবি মামুন খান বলেন, ‘কোরিয়ার সাহিত্য পড়তে গিয়ে মনে হলো যে জীবন এই নগর-উন্নয়ন এবং আধুনিকতার বাইরে সেই জীবনের সঙ্গে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের, যেকোনো দেশের ও সংস্কৃতির মানুষেরই স্বাভাবিক মিল খুঁজে পাওয়া যায়।’

শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক গল্পকার সাফি উল্লাহ কোরিয়ার সাহিত্যের ওপর সুবিস্তৃত আলোকপাত করেন।

তনুশ্রী সরকারের গাওয়া ‘ধ্বনিল আহ্বান মধুর গম্ভীর’ রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে শুরু হয় আয়োজন।
শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লেখক ও সাংবাদিক ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক সাইফুল্লাহ এমরান।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান এলটিআই কোরিয়ার সহযোগিতায় এই আলোচনার আয়োজন করে প্রকাশনা সংস্থা ‘উজান’।

জেড-এস
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নির্বাচিত হলে মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে বিচারের হুমকি চেয়ারম্যান প্রার্থীর
নির্বাচিত হলে মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে বিচারের হুমকি চেয়ারম্যান প্রার্থীর
রোগীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসে সড়কে প্রাণ গেলো ৩ জনের
রোগীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসে সড়কে প্রাণ গেলো ৩ জনের
তীব্র গরমে বেড়েছে রিকন্ডিশন্ড এসির চাহিদা
তীব্র গরমে বেড়েছে রিকন্ডিশন্ড এসির চাহিদা
ইউক্রেনের খারকিভে রুশ ড্রোন হামলায় আহত ৩
ইউক্রেনের খারকিভে রুশ ড্রোন হামলায় আহত ৩
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বগি লাইনচ্যুত
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বগি লাইনচ্যুত